গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মোবাইল চুরির মিথ্যা অপবাদে শান্তি বৈদ্য নামে এক যুবককে স্থানীয় শালিসের মাধ্যমে হয়রানি ও বলপূর্বক জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের পিতা উপানন্দ বৈদ্য বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈসহ ৫ জনকে আসামী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
উপজেলার ২নং সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের পীড়ারবাড়ী গ্রামের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রধান শিক্ষিকা অনিতা জয়ধরের ঘর থেকে কিছু নগদ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল সেটটি হারিয়ে যায়। এই বিষয়ে আমরা কিছু না জানলেও পূর্ব বিরোধের জের ধরে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল আমাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলের উপরে চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রাম্য শালিসি পরিচালনা করেন। ওই শালিসে ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈর নেতৃত্বে দুলাল হালদার, মনোরঞ্জন গাইন, বিপুল হালদার, মনিমোহন বাড়ৈসহ আরো অনেকে চাপ প্রয়োগ করে আমার ছেলেকে চুরির দায় স্বীকারের চেষ্টা করে, কিন্তু আমার ছেলে মানতে না চাইলে একপর্যায়ে অন্যায়ভাবে তাকে মারপিট করে আমাকে ৬২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু যে মোবাইল সেট চুরির অপবাদে আমাকে জরিমানা করেছে সেই মোবাইল সেট কয়েক দিন পরেই অন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ। তাই আমাদের প্রতি যে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হয়েছে তার বিচারের দাবী জানাই।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈ জরিমানার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই ছেলেটা ফ্রি ফায়ারে আসক্ত ছিলো, এই গেইম খেলতে যে টাকার দরকার হতো ওটা ম্যানেজ করতে সে টাকা, মোবাইল চুরি করতে পারে। এছাড়াও সে শালিসিতে স্বীকার করেছে চুরির বিষয়টি, তাই শিক্ষিকার ক্ষতিপূরণ বাবদ উপস্থিত সকলের মতামতে তার কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা নেয়া হয়। কিন্তু এখন শুনলাম মোবাইলটি অন্য একজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জিল্লুর রহমান বলেন, মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে একজনকে জরিমানা করা হয়েছিল, পরে মোবাইলটি অন্য একজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।