খুরুশকুলে পাহাড় কেটে বালি বাণিজ্য
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৩, ১১:৪০ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
পাহাড় কেটে একের পর এক ৪টি ডাম্প ট্রাক যোগে বিক্রি করা হচ্ছে পাহাড়ি বালি ও মাটি। গত দুই মাস ধরে দিনে-রাতে তিন একরের একটি বিশাল পাহাড়ের আনুমানিক এক একর পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ঘোনারপাড়া শশ্মানের উত্তর পাশে নতুন পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় কাটার এ ভয়ংকর বাণিজ্য চলছে। প্রকাশ্যে এভাবে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হলেও এ বিষয়ে কিছুই জানে না বলে দাবি বন বিভাগের।
অপরদিকে, রহস্যজনক কারণে নীরব উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। স্থানীয়রা বলছেন, প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাকে নিয়ে বিক্রি হচ্ছে এটি গোপন কিছু নয়। স্থানীয় বন বিট কর্মকর্তা এসব বিষয়ে সব কিছু জানেন বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল এর প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'শত শত গাছ কেটে বিশাল একটি পাহাড়ের অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। এখনও সেখানে গাছের গোড়ালি রয়েছে। পাহাড় কাটা দেখতে যাওয়ার সময় জড়িত লোকজন ডাম্প ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এভাবে পাহাড় কাটতে থাকলে এক সময় এখানে কোন পাহাড়ই অবশিষ্ট থাকবে না।' দ্রুত পাহাড় কাটা বন্ধ করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, খুরুশকুল গাজীর ডেইল এলাকার মৃত গোলাম সোলতানের পুত্র গিয়াস উদ্দিন, কুলিয়াপাড়ার মৃত শুক্কুর মেম্বারের পুত্র নবাব মিয়া ও লামাজি পাড়ার নুরুল আবছারের নেতৃত্বে একটি চক্র বিশাল পাহাড়টি কেটে ৪ টি ডাম্প ট্রাক নিয়ে প্রতি ট্রাক ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করছেন। প্রতি দিন ও রাতে অর্ধশতাধিক গাড়ি মাটি ও বালি বিক্রি করা হয় বলেও জানান এলাকাবাসী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন বলেন, 'আমি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। কিন্তু আমার পয়েন্ট থেকে নবাব মিয়া জোর করে বালি ও মাটি নিয়ে যাচ্ছে।'
জানতে চাইলে খুরুশকুল বন বিট কর্মকর্তা মাসুদ মাতবর বলেন, 'পাহাড় কাটার ঘটনাটি আমার জানা নেই।'
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের পিএমখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ জানান, বিষয়টি তিনি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমানও।