কাউখালীতে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার জের ধরে ছোট ভাই ও বড় ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে নৃশংসভাবে খুন হয় গোসনতারা গ্রামের মতিউর রহমান কাজীর ছেলে বড় ভাই মাহবুব কাজী। ঘটনার ২৫ বছর পর ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি ভাই তোহেবুর রহমান কাজী ও তার বর্তমান স্ত্রী বড় ভাইয়ের বউ আলেয়া বেগম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। আলেয়া বেগম একই গ্রামের আব্দুল মান্নান সরদারের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার কাজলা থেকে কাউখালী থানা পুলিশ যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের সহযোগিতায় এদেরকে গ্রেপ্তার করেন এবং
শনিবার (৫ মে ) কাউখালী থানা পুলিশ আসামিদের পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে গোসনতারা গ্রামের মাহবুব কাজীর বউ আলেয়া বেগমের সাথে ছোট ভাই তোহেবুর রহমান কাজীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এরই এক পর্যায়ে আলেয়া বেগম দেবর তোহেবুর রহমান কাজীকে সাথে নিয়ে স্বামী মাহবুব কাজী কে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময় মুক্তি বেগম বাদী হয়ে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে ২০০৫ সালে পিরোজপুর জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায় আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদানের আদেশ প্রদান করেন।
আসামিরা পলাতক থাকায় দীর্ঘ ১৮ বছর তারা গ্রেফতার হয়। কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ জাকারিয়ার নির্দেশে এস আই সিদ্দিকুর রহমান,এ এস আই কবির ও পুলিশ কনস্টেবল শিরিন আক্তার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
