টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে মা ও দুই শিশু সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার শাহেদের স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫) এবং তার দুই ছেলে মুশফিক (৫) ও মাশরাফি (২)। এ ঘটনার পর থেকে মনিরা বেগমের স্বামী শাহেদ পলাতক রয়েছেন।
শাহেদ দেউলী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য (মেম্বার) ফজলুর রহমানের ছেলে। স্বামীর আত্মগোপন, মনিরা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহে মাটি লেগে থাকা এবং সন্তানদের মরদেহ বিছানার ওপর থাকায় এ ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছেন স্বজনরা।
এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত করে বলতে না পারলেও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে এটি ঘটে থাকতে পারে। কারণ নিহতের স্বামী মাদকাসক্ত।
দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহমিনা হক বলেন, প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে মনিরা বেগমের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মুশফিক ও মাশরাফির মরদেহ বিছানার ওপর পরে থাকতে দেখেন। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃদা জানান, খবর পেয়ে দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল এলাকায় গিয়ে পুলিশ স্ত্রীর ঝুলন্ত এবং দুই সন্তানকে খাটে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত শাহেদকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় জড়িত।
ওসি বলেন, তবে একসঙ্গে দুই ছেলেকে হত্যা করে মায়ের আত্মহত্যা; নাকি তাদের তৃতীয় কোনো ব্যক্তি হত্যা করেছেন এটা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি জানা যাবে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহেদ পলাতক রয়েছেন। শাহেদকে খুঁজে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।