উখিয়া থেকে ২৪ কেজি আইস উদ্ধার, আটক ৪

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ১৪:১৮ | অনলাইন সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ২৪.২ কেজি ক্রিস্টাল মেথ বা আইসসহ ৪ জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। র‌্যাবের দাবি আইসের এই চালানটি দেশে উদ্ধার হওয়া সবচেয়ে বড় চালান। আটকদের একজন কক্সবাজার কেন্দ্রিক আইস চোরাচালানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। একজন আছেন বাংলাদেশ পুলিশের বহিস্কৃত সদস্য।

শনিবার (৬ মে) মধ্যরাতে উখিয়ার পালংগালির সফিউল্ল্যাহ কাটা সংলগ্ন এলাকার ইরান মাঝির আস্তানায় এ অভিযান চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন- উখিয়ার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ইমরান প্রকাশ ইরান মাঝি (৩৩), তার ভাই মো. রুবেল প্রকাশ ডাকাত রুবেল (২৬), মৃত আলী আহমেদের ছেলে মো. আলাউদ্দিন (৩৫), টেকনাফের মৃত আবদুল করিমের ছেলে জয়নাল আবেদীন প্রকাশ কালা বদা (৩৭)।

অভিযানে উদ্ধার হওয়া ২৪.২ কেজি আইসের আনুমানিক মূল্য ১২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রবিবার (৭ মে) দুপুরে কক্সবাজারস্থ র‌্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইরান মাঝির আস্তানা থেকে এই আইসের চালানসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। আটকরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, মিয়ানমারের মাদক চোরাচালান চক্রের যোগসাজসে দেশে অবৈধ মাদক আইস চোরাকারবারির সাথে জড়িত তারা। তাদের চক্রের প্রধান ইরান মাঝি। ইরান মাঝির নেতৃত্বে চক্রটির বেশ কয়েকজন সদস্য পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে দূর্গম সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে কক্সবাজার ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্রিস্টাল মেথ বা আইস পাচারে জড়িত।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই চক্রটি মূলত কক্সবাজার কেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারী চক্র এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের নির্ধারিত এজেন্ট রয়েছে। প্রথমে ইরান মাঝির নেতৃত্বে চক্রের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী দেশের মাদক চক্রের কাছ থেকে মাদকের চালান নিয়ে আসে। যা পরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রেরণ করে থাকে।

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ইরান মাঝি নলবুনিয়া ও পালংখালী এলাকার একজন মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে উখিয়াসহ বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা সংক্রান্ত ৭টির অধিক মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় ৪ বার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারের পর সাজাও ভোগ করেছেন। পরে জামিনে বের হয়ে পলাতক হয়ে একই কাজে জড়িত হন। ডাকাত রুবেল ইরান মাঝির সহোদর এবং ইরানের অন্যতম সহযোগী। তার বিরুদ্ধেও ৪ টির অধিক মামলা রয়েছে। আটক আলাউদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের একজন বহিস্কৃত সদস্য। সে ২০১৭ সালে মাদক বহনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় বহিস্কৃত হয়। তার বিরুদ্ধে ৪টির অধিক মামলা রয়েছে। জয়নাল আবেদীন কালা বদা ৫ বার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেছে। তার বিরুদ্ধে ৬ টির অধিক মামলা রয়েছে।

আইস উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করে আটকদের উখিয়া থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।