মানিকগঞ্জে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ কমিটি গঠন
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৩, ২০:২১ | অনলাইন সংস্করণ
দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে এক জোট হয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পৌলি বাজারে ঐতিহ্যবাহী বুলবুল ক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
বুলবুল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৭ং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কবির হোসেন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শিকদার শাহাদাত হোসেন, প্রভাষক মশিউর রহমান, মাসুদ করিম (বান্দুটিয়া), বুলবুল ক্লাবের সভাপতি তাইজুল ইসলাম, আনসের ফেরাজী, ফারুক হোসেন (কান্দাপৌলি) ইলিয়াস হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও মো শাহজাহান।
বক্তারা এসময় চুরি, মাদকসেবন বেড়ে যাওয়া নিয়ে আতঙ্ক এবং সম্প্রতি পরোপকারী করিম ডাক্তারের বাড়িতে চুরি হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে করিম ডাক্তার গ্রাম ছেড়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। বক্তারা বলেন এভাবে চলতে থাকলে গ্রামের প্রতিটি আর্থিকভাবে সচ্ছল এবং সম্মানিত মানুষ গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে। এলাকায় বিট পুলিশের টহল জোরদার এবং রাত নয়টার পর চলাচলে সীমাবদ্ধতার দাবী জানান তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কবির হোসেন বলেন, মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপনাদের এই জাগরণ আমার কাজের পথকে সহজ করেছে। আমি কাউন্সিলর থাকার আগেও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম এখনও আছি। আপনারা আমার পাশে থাকেন আমিও আপনাদের সাথে আছি। আপনারা আমার জন্য হাটু পানিতে নামলে আমি কোমর পানিতে নামতে প্রস্তুত আছি। আপনারা গ্রামবাসী মিলে রাতে পাহাড়ার জন্য দুইজন লোক ঠিক করেন, তাদের অর্ধেক বেতন আমি নিজে দেব। তিনি আরও বলেন, করিম ডাক্তারের ঢাকাতে বাড়ি আছে। গ্রামের বাড়ি চুরি হওয়ায় সে ঢাকা চলে গেছে কিন্তু আপনারা কোথায় যাবেন? এই গ্রামেই থাকতে হবে। অতঃএব এ জাগরণ ধরে রাখতে হবে। আমাকে অনেকেই বলেন মাদকের বিরুদ্ধে কথা বললে ভোট কমে যাবে, আমি বলেছি ভোট কমলে কমুক। প্রয়োজনে যদি জীবন যায় তাতেও পরোয়া করিনা। মাদকসেবী ও অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নাই। সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আজ থেকে যুদ্ধ ঘোষণা করলাম।
এরপর সর্বস্মতিক্রমে কোমলমতি সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষা এবং চলমান অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে একজোট হয়ে কাজ করতে কাউন্সিলরকে উপদেষ্টা করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট ‘মাদক ও সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ কমিটি’ নামে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।