ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর

নারায়ণগঞ্জে সাব্বির হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত হত্যাকান্ড ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (৭ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে শরাবান তহুরার আদালতে এই জেরা করা হয়। একই সময়ে আদালতে জাকির খানের জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। সেই সাথে আগামী ১৩ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন সাব্বিরের বড় ভাই বিএনপির চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে জেরা করেছেন আইনজীবীরা।

নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের বড় ভাই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, কারও সাথে আমার ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক বিরোধ না। আমি আমার ভাই হত্যার বিচার চাই। আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাবো।

আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রবিউল হোসেন বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলা। যে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। আমরা তৈমূর আলম খন্দকারের জেরা শেষ করেছি। আমরা জাকির খানের পক্ষে জামিন চেয়েছিলাম আদালত জামিন মঞ্জুর করেনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাবো। আমরা আশা রাখি এই মামলায় আমাদের আসামী নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাব্বির হত্যা হামলার আসামী জাকির খানকে আদালতে আনা হয়েছিলো। বাদীকে আসামী পক্ষের আইজীবীগণ জেরা করেছেন। জেরা শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, জাকির খান নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম হত্যা মামলার আসামি ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরিচয় গোপন করে গত এক বছর সপরিবারে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ায় মামলার বাদী তৈমুর আলম খন্দকার সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। পরে অক্টোবর মাসে তৈমুর আবার এ নারাজি প্রত্যাহার করে নেন। তবে এই মামলায় অনেকদিন ধরে সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসছিলেন না জন্য বিচার কার্যক্রমে স্থবিরতা ছিলো বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

তার আগে ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির আলম খন্দকার খুন হওয়ার পর এ মামলার আসামি হওয়ায় তিনি নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে থাইল্যান্ডের সুকুমবিকে কয়েক কোটি টাকা দিয়ে 'গ্রেস’ নামে ৮তলা বিশিষ্ট একটি থ্রি-স্টার হোটেল কেনেন এবং সেখানেই বসবাস করছিলেন।

তবে র‌্যাব জানিয়েছিল গত এক বছর থেকে স্বপরিবারে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

হত্যাকান্ড,জামিন,নামঞ্জুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত