সিরাজগঞ্জে নানা আয়োজনে ৩দিন ব্যাপী রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসব শুরু

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ১৮:৫৬ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ৩দিন ব্যাপী জন্মজয়ন্তী উৎসব শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসন ও শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন নানা আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জমিদারি তদারকির কাছারি বাড়ি অঙ্গণে এ উৎসবের আয়োজন করেছে।

এ উৎসব ঘিরে রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে। উৎসবকে ঘিরে রবীন্দ্র প্রেমী, গবেষক ও অনুরাগীদের পদচারণায় মুখোর হয়ে উঠেছে কবি অঙ্গণ।

সকালে জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু প্রধান অতিথি হিসাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের গর্ভ, আমাদের প্রাণের কবি। বঙ্গবন্ধু মনে প্রাণে রবি কবির শিল্প দর্শন ও আদর্শকে বুকে লালন করতেন। এজন্য সবার মাঝে রবির আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি তার লেখা গানকে জাতীয় সঙ্গীত করেছেন। আমাদের প্রত্যেকের উচিত রবি কবির দর্শন অনুসরণ করা। রবি দর্শনই আমাদের মুক্তির পথ অন্বেষণ করতে হবে।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় এমপি প্রফেসর মেরিনা জাহান কবিতা, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রাজিব কুমার সরকার, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার) পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রফেসর আজাদ রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শেখ আব্দুল হামিদ লাভলু, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী প্রমুখ।

এদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগ এখানে দিন ব্যাপী ‘রং তুলিতে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে দেশের খ্যাতনামা ১০জন নবীন ও প্রবীণ চিত্র শিল্পী ক্যানভাসে চিত্রকর্ম অঙ্কন করেন। তাদের এ চিত্রকর্ম অঙ্কন এ অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় রবীন্দ্র সঙ্গীত, আবৃত্তি, নৃত্যানুষ্ঠানর আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য,বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯০ সাল থেকে ১৮৯৭ সাল পর্যন্ত জমিদারি তদারকির জন্য এখানে মাঝে মাঝে আসতেন ও কিছুদিন করে অবস্থান করতেন। তার এই অবস্থান কালে তিনি চিত্রা, চৈতালি, সোনার তরী, নাটক বিসর্জন, ছোট গল্প পোস্ট মাস্টার, ছিন্নপত্র ,গানসহ অসংখ্য লেখা এখানে বসে লিখেছেন। তার এই স্মৃতিকে অমর করে ধরে রাখতে এ কাছারিবাড়িতে তার ব্যবহৃত জিনিস ও আসবাবপত্র নিয়ে দ্বিতল ভবনে যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ যাদুঘরে প্রতিদিন দেশ বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থী ও ভক্ত অনুরাগীরা কবির পরশ নিয়ে থাকেন।