চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত বলেছেন, পলিথিনের বিকল্পও আমাদের ভাবতে হবে। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প একমাত্র পাটজাত পন্যই হতে পারে। যা পরিবেশ বান্ধব। সামাজিক দায়বদ্ধতা আমাদের মধ্যে পরিস্কার না।
বুধবার (১০ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহরের এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে চাঁদপুর মাল্টি-পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরামের আয়োজনে ‘পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নাগরিক ভাবনা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একটি প্লাস্টিক তৈরিতে ৩৮ টি ক্যামিকেল ব্যবহার হয়। এর মধ্যে ৮ থেকে ১০টি ক্যামিকেল বেশী ক্ষতি হয়। একটি পলিথিন ৪ থেকে ৫ শত বছর মাটির নিচে থাকতে পারে, পঁচে না। আর তা খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার কারনে দেশে ক্যান্সারের হার বাড়ছে। শিশুরাও এ ভয়ানক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের চারপাশে পলিথিন ও প্লাস্টিকে সয়লাভ। পৃথিবীর অনেক দেশে এগুলো নিষিদ্ধ রয়েছে। ব্যক্তি সচেতনতার বিকল্প নেই। এই বিষয়ে শিক্ষকরা ভাল ভূমিকা রাখতে পারেন। কোন দ্রব্যের যদি নির্মূল করতে হয়, তাহলে তার উৎপাদন বন্ধ করতে হয়।
মাল্টি-পার্টি এ্যাডভোকেসি ফোরাম চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মুনির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ ও ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু নাছের বাচ্চু পাটওয়ারী।