সাবেক রেলপথ মন্ত্রী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এমপি বলেন, সিরাজউদৌল্লার সাথে মীর জাফর, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে মোস্তাক যেমন বেঈমানী করেছে তেমনি এ চৌদ্দগ্রামের নব্য বেঈমানের সৃষ্টি হয়েছে। আমি তাদের নাম মুখে আনতে চাইনা। তাদের শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, শিরায় শিরায় আমার অবদান আছে। আমি তাদের প্রতিষ্ঠিত করেছি, মেয়র-চেয়ারম্যান বানিয়েছি। এখন আমার সাথে বেঈমানী বিশ্বাস ঘাতকতা করছে। মীর জাফর মোস্তাকে যেমন মানুষ ঘৃণা করে। চৌদ্দগ্রামের মানুষ সারাজীবন তাদের ঘৃণা করবে।
বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কাশিনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে রাণীর বাজার স্কুল মাঠ আয়োজিত বিশাল পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্যাহ বাবুল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু তাহের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহঃসভাপতি আকতার হোসেন পাটোয়ারী, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হাসেম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএম জাহিদ হোসেন টিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান মুরাদ, কামরুল আলম মোল্লা, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য এমরানুল হক কামাল, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, মাহবুব হোসেন মজুমদার, মাহফুজ আলম, সোহাগ মিয়া, একে খোকন, যুবলীগ নেতা নজির আহমেদ মজুমদার, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সর্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল।
এর আগে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন মুজিবুল হক এমপি।
বক্তব্যে মুজিবুল হক আরো বলেন, এ এলাকায় কোন পাকা রাস্তা ছিলনা। এখন কোন রাস্তা কাঁচা নেই। সকল রাস্তা-ঘাট আমি পাকা করেছি।প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুলের বিল্ডিং আমি করেছি। এ এলাকার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমি এ এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি। আরো করবো।বর্তমান তেমন কাজ বাকি নেই। যেটুকু রয়েছে তাও শেষ হবে ইনশাল্লাহ। আপনারা আমার সাথে আছেন, থাকবেন। আমিও আপনাদের হয়েই থাকবো।