দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাঁদপুর নদী উপকূলীয় এলাকায় সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা, বেদে পল্লী, মাছঘাট, জেলে পল্লী, লঞ্চঘাট ও যাত্রীবাহী লঞ্চে মাইকিং করেন কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের টহল বাহিনীর সদস্যরা।
এছাড়াও বিকেলে ফায়ার সার্ভিস এ- সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গাড়ী দিয়ে মাইকিং করা হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাতুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলার বিষয়ে বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান। সভাপতি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সার্বিক প্রস্তুতিসহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
কোস্ট গার্ড চাঁদপুর স্টেশন থেকে জানানো হয়, কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন কর্তৃক জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার লক্ষে সার্বক্ষণিক সমন্বয়সাধনের জন্য জরুরি ০১৭৬৯-৪৪০৩৩৩ নম্বরে ২৪ ঘন্টা সেবা প্রদান করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, আমদের ইউনিয়ন পদ্মা-মেঘনার পাশে। চরাঞ্চল হওয়ায় ইতোমধ্যে আমরা ইউপি সদস্যসহ প্রত্যেক এলাকার লোকদেরকে সতর্ক থাকার জন্য মৌখিকভাবে বলেছি। এখনো মাইকিং করা হয়নি।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী জানান, ঘুর্ণিঝড় বিষয়ে বিকেল ৩টার দিকে জেলা প্রশাসনের ভার্চুয়াল সভা হয়েছে। সেখানে যুক্ত হয়ে যেসব নির্দেশনা পেয়েছি, সেসব নিদের্শনার আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চলের আশ্রয়ন প্রকল্প প্রদানদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি এবং ওইসব এলাকায় প্রথম পর্যায়ে মাইকিং করা হয়েছে। সতর্কতার জন্য আরো প্রচার করা হবে। আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পগুলোও প্রস্তুত রয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েছেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার এখলাছপুর লঞ্চঘাট ও কয়েকটি স্থানে জেলে ও স্থানীয় সাধারণ জনগণের সাথে সচেতনমুলক প্রচারণা করেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ এর সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় প্রস্তুতি সম্পর্কে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।