কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের শাস্তি চেয়ে কাফনের কাপড় পরে শহীদ মিনারে অনশনে বসেছেন মুবিনুল হক (৫৫) নামের এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেল চারটা থেকে পেকুয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই অনশনে বসেন তিনি।
শুক্রবার (১২ মে) পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ মাঠে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনশন করছেন মুবিনুল। তবে তাঁর সঙ্গে কেউ নেই। তিনি একাই একটি ব্যানার টাঙিয়ে ও কাফনের কাপড় পরে বসে আছেন।
মুবিনুল হকের দাবি, উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পাল তাঁর ফাইল আটকিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। ইতিমধ্যে তিনি এক লাখ টাকা দিয়েছেনও। বাকি এক লাখ টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করার হুমকি দেন তপন। ‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকদিন ধরে অনেক সাংবাদিকের কাছে গিয়েছি। কেউ কেউ লিখলেও বেশিরভাগ সাংবাদিক নিরব থেকেছেন। কোনো উপায় না দেখে অনশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি’- বলেন মুবিনুল।
মুবিনুল হক বলেন, তাঁর অংশের জমি নিয়ে বোনদের আপত্তি ছিল। শুনানি শেষে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম সেই আপত্তি খারিজ করে দেন। খারিজ আদেশের সার্টিফাইড কপি নেওয়ার জন্য পেকুয়া ভূমি অফিসের প্রধান সহকারী তপন কান্তি পালের কাছে গেলে তিনি দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দিলে তাঁর খতিয়ান কর্তন করে বোনদের নামে খতিয়ান সৃজন করে দেয়ার হুমকি দেন।
মুবিনুল বলেন, এই একটি বিষয় নিয়ে ভূমি অফিসে গত এক বছর ধরে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। ভূমি অফিস যখনই খোলা থাকে আমি উপস্থিত থাকতাম। সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে সেটার প্রমাণ পাওয়া যাবে। তপনকে এ বিষয়ে এক লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু বাকি এক লাখের জন্য তিনি আপত্তি খারিজের সার্টিফাইড কপির ফাইল আটকিয়ে রেখেছেন।
ঘুষ দাবি ও অনশনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত আটটা পর্যন্ত তপন কান্তি পালের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।
পেকুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, তপনের বিষয়ে মুবিনুল হক লিখিত কোনো অভিযোগ আমাকে দেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুবিনুল পেকুয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনশন করছেন এমন একটি ভিডিও দেখেছি।