ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘূর্ণিঝড় মোখা

নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, জনমনে আতঙ্ক

নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, জনমনে আতঙ্ক

নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মোখা আতংকে হাতিয়া, কোম্পানীগন্জ,

কবির হাট ও সূবর্নচর সহ বিভিন্ন উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে নিন্মাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ও গুবাদি পশু।

খাদ্য সহয়তা হিসেবে চাউল ও শুকনো খাবার সহ প্রস্তুত রয়েছে প্রস্তুতিসভা ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র।

ঘূর্ণিঝড় মোখার আতংকে রয়েছে হাতিয়া উপকূলীয় চরাঞ্চলের লোকজন। বিশেষ করে কক্সবাজার ১০ এবং নোয়াখালীতে ৮ নং মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করার পর বেড়ীবাঁধ না থাকায় হাতিয়া দ্বীপের বিচ্ছিন্ন অঞ্চল চর ঘাসিয়া, ঢালচর, বয়ারচর, নলেরচরসহ নিঝুম দ্বীপের লোকজন আতংকে ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ মে) দুপুরের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে প্রশাসনের নির্দেশে হাতিয়া থেকে সব রুটে লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার, স্পিডবোট, সি-ট্রাকসহ সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ রয়েছে।সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে, বিশেষ করে আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করছেন।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কায়সার খসরু জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে জনগণকে রক্ষা করতে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়া নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় মোখা ও দুর্যোগ পরবর্তীতে করণীয় সম্পর্কে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রধান নিবাহী সামুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন, সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান খান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণ।

এছাড়া যুব রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবীসহ নোয়াখালীর সকল সরকারি দফতরের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবী ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে , জেলা বিভিন্ন উপজেলা মিটিং করে ঘূর্ণিঝড় সর্তক করনীয় নেওয়া হয়েছে। জেলায় মোট ৪৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রয়েছেন প্রায় সাড়ে ৭ হাজারের মত স্বেচ্ছাসেবী। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে ১১১টি মেডিক্যাল টিম।

এছাড়া, রেডক্রিসেন্ট ও সিপিবির ৫ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবীও দুর্যোগকালীন সময়ে সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় পূর্ব ও পরবর্তি প্রস্তুত থাকার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জরুরি সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

অপর দিকে শনিবার দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়াম হল রুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসির আরাফাত সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবেদা সুলতানা উর্মি, প্র্কল্প কমকর্তা আহম্মদ উল্যাহ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার গাওছুল আজম, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান টিপু, নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মানিক ভূইয়া সহ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে দুর্যোগ সর্তকতায় স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনের সদস্য বৃন্দ উপস্থিতিতে দূর্যোগ র্পূব ও পরবর্তীতে আমাদের করনীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নোয়াখালী,ঘূর্ণিঝড়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত