চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরা নিউ রাজাপুর গ্রামের কুতুব উদ্দিনের একমাত্র পুত্র স্বাধীনকে হারিয়ে ৪ দিনের ব্যবধানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুতুব উদ্দিন ভাসানীও (৬২) না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
গত শনিবার (১৩ মে) রাত ১২ টায় একমাত্র ছেলে ফারদিন আরাফাত স্বাধীন ( ২০) কে সমাহিত করা হয়। শেষ যাত্রায় বাবা কুতুবউদ্দিন ছেলেকে দেখতে পারেনি। তখন বাবা ছিলেন ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটের আইসিইউতে। গতকাল মধ্যরাতে তিনিও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বাবা-ছেলে কেউ কাউকে শেষ বিদায় দিতে পারলেন না।
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক ছেলে ছিলো। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে বিহ্ববল স্ত্রী।
স্বাধীনের একটি জাহাজে চাকরী ঠিক হয়েছিল, তাই বরিশালে ক্যাপ্টেন বাবা কুতুবউদ্দিনের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। তার বাবা তখন কীর্তনখোলা নদীতে জাহাজে কর্মরত। গত ১১ মে বিকালে জাহাজে বাবার সাথে অবস্থান করছিল স্বাধীন। হঠাৎ তাদের জ্বালানী তেলবাহী জাহাজটির ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ছেলে স্বাধীন ও তার বাবা কুতুবউদ্দিন গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে প্রথমে বরিশাল হাসপাতালে পরে ঢাকা বার্ণ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে স্বাধীনের মৃত্যু ঘটে এবং তার বাবা কুতুবউদ্দিনকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়। চারদিন আইসিইউতে থাকার পর গতকাল মধ্যরাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।