ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সিরাজগঞ্জে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ক্লোজড 

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ীকে মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন ও ঘুষ আদায়ের অভিযোগে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযূক্ত ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা হলেন, কাজিপুর থানার এসআই আবুল হোসেন ও শহিদুল ইসলাম শহিদ।

জেলা পুলিশের এক উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সীমারন্তবর্তী এলাকার একডালা গ্রামের ভাংড়ি ব্যবসায়ী লাভলু ইসলামের বাড়িতে যান এবং কোনো অভিযোগ না থাকলেও অনাধিকার প্রবেশ করে তাকে ধরে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে কিছু লোকজনের উপস্থিতিতে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই ব্যবসায়ী তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে এক পুলিশ কর্মকর্তা (এসআই) তাকে নানারকম গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স চেক করতে হবে মর্মে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একই এলাকার মহিষামুড়া চৌরাস্তা বাজার এলাকায় তাকে আটকে রাখেন এবং তার কাছ থেকে সিমেন্ট বিক্রির ৩০ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। সেইসাথে তার চোখ বেধে আরো ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোসহ বেদধরক মারপিটের ভয় দেখানো হয় এবং পরবর্তীতে আরো ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৪০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় হয়।

এ ঘটনায় সোমবার ব্যবসায়ী লাভলু ন্যায় বিচার দাবিসহ তদন্তপূর্বক ওই ২ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। একই সাথে আইজিপি, ডিআইজি (রাজশাহী) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বরাবর অনুলিপি দেয়া হয়। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএমর (বার) নির্দেশে ওই দুই এসআইকে মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে রতনকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, টাকা পয়সা আদায়ের বিষয়ে কিছু জানি না এবং এ ঘটনা ভ’য়া বলেও দাবি করেন তিনি।

কাজিপুর থানার ওসি শ্যামল কুমার দত্ত বলেন, এ অভিযোগে ওই ২ এসআইকে ইতিমধ্যেই ক্লোজড করা হয়েছে এবং তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।