ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখতে না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা

পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখতে না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা

কাউখালীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র পরীক্ষার একদিন আগে প্রধান শিক্ষকের কাছে দেখতে চান ১৪ নং মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক নাদিরা কানিজ। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে যান ওই সহকারী শিক্ষক। পরে তার স্বামীকে দিয়ে হামলা চালান প্রধান শিক্ষকের উপর।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষার একদিন আগে গত ১৬ মে বিকেলে উপজেলার মধ্য সোনাকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে পৌঁছান। এরপর সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রথম দিনের ইংরেজী প্রশ্ন দেখতে চান।

উল্লেখ্য, তার মেয়ে আরিবা একই বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে বিধায় প্রধান শিক্ষক প্রশ্ন দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয় সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ। পরের দিন ১৭ মে পরীক্ষা শুরুর পূর্বেই তার মেয়েকে অন্য স্কুলে ভর্তির জন্য ছাড়পত্র (টিসি) দাবি করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষকের নিকট টিসির জন্য লিখিত আবেদন করলেও প্রধান শিক্ষক তার মেয়ের ছাড়পত্র না দেওয়ায় এবং প্রশ্নপত্র না দেখানোর কারণে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হন। এই ঘটনার জের ধরে পরীক্ষা শেষে ওই দিন বিকেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল এর উপর শিক্ষিকার স্বামী মনিরুজ্জামান হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক মিলন কৃষ্ণ পাল জানান, পরীক্ষা শেষে তিনি বাড়ি ফেরেন এবং বিকেলে বাড়ির সামনে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজের স্বামী মনিরুজ্জামান অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। এ সময় তার চিৎকারে এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে। কাউখালী হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কাউখালী থানা ও প্রশাসনের নিকট আইনগত ব্যবস্থা পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।

অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নাদিরা কানিজ জানান, সাংবাদিকের এত কিছু জানার কি দরকার। ফোনে কথা বলা যাবে না। আমি ব্যস্ত আছি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম জানান, ঘটনার পর তাকে জানানো হলে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া অনৈতিকভাবে প্রশ্নপত্র দেখতে চাওয়া হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকারিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহের নিগার সুলতানা জানান, বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মূল্যায়ন,পরীক্ষা,প্রশ্নপত্র
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত