সাভারের আশুলিয়ায় টাকার জন্য ফারাবি আহমেদ হৃদয় (২১) নামের এক কলেজ ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় তার তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। এ ঘটনায় অপহরণের দশ দিন পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে আশুলিয়ার মোজারমিলের শিববাড়ি এলাকার স্টান হাউজিংয়ের পুকুর থেকে নিহতের বস্তাবন্দি ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আশুলিয়ার জামগড়া, টাঙ্গাইল ও রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ঘাতকদের আটক করে র্যাব।
নিহত ফারাবি আহমেদ হৃদয় আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার ফজলুল হক মিয়ার ছেলে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত ৮ মে আশুলিয়ার জামগড়ার বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সদর থানার পশ্চিম দাস পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে ময়েজ হোসেন পরান (২২) ও অপরজন বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার মহেশপাড়া গ্রামের তাহেলুল ইসলাসের ছেলে সুমন মিয়া বাপ্পী (২৫)। এছাড়া আকাশ নামে গ্রেপ্তার আরেকজনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
র্যাব জানায়, গত ৮ মে সকাল ১০ টার দিকে কলেজছাত্র হৃদয়কে ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে যায় তার বন্ধু পরান ও বাপ্পী। তাকে জিম্মি করে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। সেদিন দুপুরে তাকে হত্যার পর লাশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাখে। পরে বিকাল ৪ টার দিকে আশুলিয়ার শ্রীপুরের একটি পুকুরে বস্তাবন্দি লাশ ফেলে যায়। দুই দিন পর আসামিরা আবার ওই পুকুরে লাশ ভেসে উঠেছে কিনা দেখতে যায়। তারা লাশ ভেসে উঠা দেখতে পেয়ে আবার লাশ উপরে তুলে ৮/১০ টি ইট বস্তার ভেতরে ভরে পুকুরে ডুবিয়ে দেয়।
লাশ উদ্ধারের পর সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুর রহমান বলেন, আসামিরা আর্থিকভাবে দুর্বল ও ভিকটিমের পরিবার ছিল সম্পদশালী। তারা ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করে হৃদয়কে অপহরণ করে। হৃদয়কে তার চার বন্ধু মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। জড়িত আরও একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছেনা।
