চোরাচালান রোধে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস এর তল্লাশি কার্যক্রম বৃদ্ধি
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ১৩:৫৮ | অনলাইন সংস্করণ
বেনাপোল প্রতিনিধি
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস স্বর্ণ ও ডলার পাচার রোধে বহিঃর্গমন ও আন্তগমন পাসপোর্টযাত্রীদের অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তল্লাশি করছে। স্ক্যানিং-এ যাত্রীদের ল্যাগেজ চেক করার পর সন্দেহভাজনদের শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে এবং নারী যাত্রীদের জন্য আলাদা গোপন রুম তৈরী করে সেখানেও তাদের দেহ তল্লাশি চলছে। এ পথে পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে বার বার ডলার ও স্বর্ণ উদ্ধার হওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আরো সতর্ক হয়ে তল্লাশি করছে, যাতে কেউ গোপনে কোন রকম কোন অবৈধ দ্রব্য নিয়ে ভারত গমন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
শুক্রবার (১৯ মে) সকাল থেকে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার শারমিন আক্তার ও হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও চোরাচালানি তৎপরতা বন্ধের জন্য এ তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
সরেজমিনে বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে যেয়ে দেখা যায়, সারিবদ্ধভাবে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্কানিংয়ে ল্যাগেজ এবং যাত্রীদের হ্যান্ড মেটেল ডিটেক্টর দিয়ে শরীর তল্লাশি করা হচ্ছে। যাত্রীরাও বাড়তি দালালদের খপ্পরে না পড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের ভারত গমনের জন্য অপেক্ষা করছে।
কাস্টমস সুত্র জানায়, এভাবে যাত্রীদের তল্লাশি করা হলে চোরাচালানি তৎপরতা বন্ধ হবে। যারা এ পথে ডলার স্বর্ণসহ অন্যান্য দ্রব্য পাচার কাজে নিয়োজিত তারা এ সংবাদে সতর্ক হয়ে যাবে। ফলে চোরাচালানি কাজও বন্ধ হবে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট তল্লাশি কেন্দ্রে দেখা যায় , ইন্সপেক্টর সেলিম, জেমি, এম এস মেজবাহ হাসান, ইব্রাহীম, নজরুল, সজীব, এএসআই আবু মুছা, আবদুল্লাহ যথাযথ ভাবে দেখ ভাল করছে। কোন প্রকার চোরাচালানি পণ্য যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে এবং ভারত থেকে কোন পণ্য দেশে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ করছে।
পাসপোার্ট যাত্রী আলামিন এর নিকট এ তল্লাশিতে কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, না আমাদের কোন সমস্যা নাই। বরং সু-শৃঙ্খলভাবে আমরা যাতায়াত করছি। আর দুই রাষ্ট্রের মধ্যে যে অবৈধভাবে সুযোগ নেয় চোরাচালানি পণ্য আনা নেওয়ায় তাও রোধ পাবে এবং সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
কাস্টমস সুপার শারমিন আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এক শ্রেণীর চোরাচালারীরা গোপনে বিভিন্ন কৌশলে চোরাচালানী কাজের সাথে জড়িত। এদের অনেককে ডলার ও স্বর্ণসহ কাস্টমস ও কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা আটক করে চালান দিয়েছে মামলা দিয়ে। এছাড়া যারা ব্যাগেজ রুল ব্যতিত ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসে তাদের পণ্য ও ডিএম করে সরকারের অনেক রাজস্ব আদায় হয়েছে। লোকবল এর অভাবে অনেক সময় উভয় পাশে সঠিকভাবে তল্লাশি করা দুরুহ হয়ে পড়ে। তবে এখন থেকে আরো সতর্কতার সাথে কাস্টমস এসব বহিঃর্গমন ও আন্তগমন যাত্রীদের অত্যন্ত সম্মানের সাথে তল্লাশি করছে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা উভয় পাশে অনেকদিন থেকে তল্লাশি করছি, তবে আজ থেকে আরো জোরালোভাবে কাজ শুরু হয়েছে যাতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।