মহেশখালীতে দখলবাজদের হামলায় রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ আহত ৭

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ১২:২৩ | অনলাইন সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে হামলায় বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তাসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। রোববার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের নাককাটা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- বনবিভাগ মহেশখালী অফিসের রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী (৩৯), মুদিরছড়া বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছানাউল্লাহ (৪২), শাপলাপুর বিট কর্মকর্তা নুরে আলম মিয়া (৩৬), বনকর্মী নুর আলম, শ্রমিক শামসু আলম (৫০) ও আবু তালেব (৩০)।

উপকূলীয় বনবিভাগ মহেশখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী বলেন, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের নাককাটা পাহাড়ি এলাকায় বনবিভাগের ৩৭০ একর জমি রয়েছে। এসব জমিতে বনবিভাগ শ্রমিক নিয়ে বাগান সৃজনের কাজ করছিল। এসময় হঠাৎ করে স্থানীয় জয়নাল নামে এক ব্যক্তি দা নিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। পরে বিষয়টি মুদিরছড়া বিট কর্মকর্তা ছানাউল্লাহ আমাকে অবহিত করে। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে বার বার নিষেধ করার পরও শ্রমিকদের ওপর জয়নাল মারধর অব্যাহত রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করা হয়। কিন্তু তাতেও জয়নাল শ্রমিকদের ওপর মারধর অব্যাহত রাখে। অবশেষে বাধ্য হয়ে জয়নালকে পুলিশে দেয়ার জন্য ধরে সিএনজিতে আনা হয়।

এসময় জয়নালের ভাই সাগর, শরিফ, সিরাজসহ ১০-১৫ জনের দুর্বৃত্ত দা ও লাঠি নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে বিট কর্মকর্তা ছানাউল্লাহকে পাহাড়ি ছড়াতে ফেলে দেয়। এরপর আমার অস্ত্র কেড়ে নেয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকেও ছড়ায় ফেলে দেয়। তারপর দা ও লাঠি দিয়ে মারধর করে জয়নালকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে সিএনজিযোগে আমিসহ আহতরা চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে যাই। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছি।”

রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী বলেন, মূলত বনবিভাগের জমিতে বাগান সৃজন হচ্ছে এটা স্থানীয় ভূমিদস্যুরা মেনে নিতে পারেনি। তারা সরকারি জমি দখলের উদ্দেশ্যে এই হামলা চালিয়েছে।

মহেশখালী থানার পরিদর্শক প্রণব চৌধুরী বলেন, হামলার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। আহত বনবিভাগের কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগে পেলে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক শেখ আবুল কালাম আজাদ বলেন, কারা কারা হামলা চালিয়েছে, কারা বনবিভাগের জমি দখল করেছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।