শেরপুরে দাফনের প্রায় ৫ মাস পরে ইয়াসিন আরাফাত (১৭) নামের এক কিশোরের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত ইয়াসিন আরাফাত শেরপুর পৌর শহরের নওহাটা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মন্টু মিয়ার নাতি ও কামরুজ্জামান টিক্কা-এর ছেলে।
রবিবার (২১ মে) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে জেলা শহরের নওহাটা পৌর কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম আল আমিন এর উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ইয়াসিন আরাফাত নিজ বসতঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ওই ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। পরে ইয়াসিনের লাশ নওহাটা পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কিন্তু ইয়াসিনের পরিবারের দাবি, ফুপাতো বোনের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের এক পর্যায়ে প্রেমিকা ও প্রেমিকার পরিবার নানাভাবে প্ররোচিত করে ইয়াসিনকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছে। তাদের প্ররোচনাতেই ইয়াসিন আবেগতাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই অভিযোগ এনে মৃতের মা শেফালী বেগম বাদী হয়ে গত ১৯ জানুয়ারী ইয়াসিনের প্রেমিকা (ফুফাতো বোন) সহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্তভার সিআইডি’র ওপর অর্পণ করা হয়। সিআইডি দীর্ঘ অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আদালতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আবেদন করে। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত নিহত ইয়াসিন আরাফাতের লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।