ঢাকা ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চৌদ্দগ্রামে প্রচন্ড গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর

চৌদ্দগ্রামে প্রচন্ড গরমে বেড়েছে তালের শাঁসের কদর

গ্রীষ্মের এই তাপদাহে তালের শাঁস যেন প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। প্রচন্ড গরমে এই তালের শাঁসটি গ্রামের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। রোববার (২১ মে) চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকায় দুপুরের প্রখর রোদে ফুটপাতের পাশে দেখা যায়, স্থানীয় যুবক আনোয়ার হোসেন তাল শাঁস বিক্রি করছেন। ক্রেতাদের অনেক ভীড়, বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে শাঁস নিতে।

এ সময় ক্রেতা হিসাবে তালশাঁস ক্রয় করতে দেখা যায় উপজেলার ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স অফিসের কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী মারুফ মজুমদার, সেনা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর হোসেনসহ অনেকেই।

জানা গেছে, বর্তমানে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন স্থানে এই মৌসুমী ফল তালের শাঁস বিক্রি চলছে। অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ক তাল ফল পাইকারী দরে কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রি করে থাকেন। পাকা তালের চেয়ে তাল শাঁসের দাম অনেক বেশি। কিন্তু দিন যতই যেতে থাকে এই তাল শাঁস ততই শক্ত হতে থাকে। তখন শাঁসের দাম কমতে থাকে এবং এক সময় তাল পরিপক্ক হয়ে গেলে তখন আর এই শাঁস খাওয়া সম্ভব হয় না। পাকা তালের রস আরও সুস্বাদু ও পুষ্টিগুনে ভরা। তবে গাছে উঠে, শাস তাল পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর। জৈষ্ঠ্যের অর্ধেক সময় পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রি।

এসময় বাজারে নিয়ে আসা তালের শাঁস বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রতি বছরই এ সময় তালের শাঁস বিক্রি করে থাকি। নিজ গ্রামসহ আশপাশের গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাল ক্রয় করি। গরমের মধ্যে তালের শাঁস অনেক উপকারী। এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। তাই জৈষ্ঠ্যের এ মধু মাসে বাজারে নানা ফলের সাথে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তালের শাঁস। গাছে গাছে নানা ফলের সমাহার আম, কাঁঠাল, লিচু ছাড়াও অন্যতম আরেকটি ভিন্নধর্মী ফল তাল, গ্রামগঞ্জের সকলেই চেনেন এ ফলটি। তাল ফলের নরম অংশটি খুবই সুস্বাদু।

তিনি আরও জানায়, প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি তাল বিক্রি করা যায়। একটি শাঁস (ছোট) আকার ভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে তার প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা লাভ হয়। তালশাঁস শরীরের কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

তাপদাহ,তাল,শাঁস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত