চুরির অপবাদ

ফুটন্ত পানিতে ২ শিশুর শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগে কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৩, ২২:৪৯ | অনলাইন সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

অভিযুক্ত কাউন্সিলর আব্দুস সালাম

কক্সবাজার চকরিয়ায় টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে এক কাউন্সিলরের মাছের ঘেরের ফুটন্ত গরম পানিতে ২ শিশুর শরীর ঝলসে গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করে।

গত শনিবার ভোরে চকরিয়া উপজেলার রামপুরের ৪ নম্বর হোল্ডারে অবস্থিত চকরিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুস সালামের মাছের ঘেরে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে এ সংক্রান্তের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউন্সিলর আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।

শরীর ঝলসে যাওয়া ২ শিশু হল, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি লালব্রিজ এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে মনির উদ্দিন (১৪) ও একই এলাকার মোহাম্মদ ইউছুফের ছেলে মোহাম্মদ সিফাত (১৬)। তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত এঘটনায় কিশোর মনির উদ্দিনের দাদা আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ‘আমার নিজের একটি নৌকা আছে। সেটি সিফাত চালায়। আরেকটি নৌকার মাঝি লাল মিয়ার সহকারি মনির উদ্দিন। শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে রির্জাভ ভাড়া নিয়ে নৌকা দুটি রামপুরে অবস্থিত কাউন্সিলর আব্দুস সালামের মাছের ঘেরে যায়। সেখানে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে মারধর শেষে গরম পানি ঢেলে শরীর ঝলসে দেয়া হয়। এঘটনায় গত শনিবার রাতে থানায় এজাহার দিলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে সোমবার বিকালে কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।

তিনি জানান, কাজ শেষে শ্রমিকদের ফের চোঁয়ারফাঁড়ি ঘাটে আনতে হবে এজন্য কাউন্সিলরের মাছের ঘেরের পাশে নৌকা নোঙর করে ঘুমিয়ে পড়ে ওই দুই শিশু। নিজের শার্টের পকেট থেকে ১৮ হাজার ৬০০ টাকা চুরি করেছে এমন অজুহাত তুলে শনিবার সকাল ছয়টার দিকে কিশোরদের মাছের ঘেরের টঙ ঘরে নিয়ে যান কাউন্সিলর আব্দুস সালাম। এসময় আব্দুস সালামের নেতৃত্বে মো. ছাদেক ও মো. নাছির উদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি ওই ২ জনকে ব্যাপক মারধর করে টাকা চুরির স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ২ জন টাকা চুরির কথা স্বীকার না করায় আব্দুস সালাম তাঁর শ্রমিক ছাদেককে কিশোরদের শরীরে গরম পানি ছুঁড়ে শাস্তি দেয়ার নির্দেশ দেন। এসময় ছাদেক গরম পানি ছুঁড়ে মারলে দুই জনের শরীর ঝলসে যায়।

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোন তথ্য জানেন না বলে জানালেও চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার তফিকুল আলম  বলেন, এঘটনায় পুলিশ একটি এজাহার পেয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় কাউন্সিলর আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।