ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পুলিশের সহযোগিতা

সিরাজগঞ্জে অসহায় নারীর বাড়ি তৈরী করে দিলেন প্রতিপক্ষরা

সিরাজগঞ্জে অসহায় নারীর বাড়ি তৈরী করে দিলেন প্রতিপক্ষরা

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাঁতী গ্রামের অসহায় নাছিমার গুড়িয়ে দেয়া বাড়িঘর তৈরী করে দিলেন পুলিশের সহযোগিতায় প্রতিপক্ষরা। এমন সহযোগীতায় অসহায় নাসিমা ও তার তিন মেয়ের মাথা গোঁজার ঠাঁই নিশ্চিত হল। সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবিরের এ উদ্যোগ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে ওই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে নাছিমা খাতুনের সাথে উল্লাপাড়া উপজেলার বেল্লাবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বিয়ে হয়। তার ৩ কন্যা সন্তান কাল হয়ে যায় নাসিমার জীবনে। একপর্যায়ে স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। স্বামী তার সন্তানদের কাছে না রাখায় তিনি সন্তানদের নিয়ে গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করেন। গার্মেন্টেসে চাকুরী করে ৩ মেয়েকে বিয়ে দেন এবং বৃদ্ধ অবস্থায় তিনি আর গার্মেন্টেসে চাকুরী করতে পারছেন না। এজন্য বাবার সম্পত্তি নিতে আসে চন্ডীদাসগাঁতী গ্রামে। বাবার সম্পত্তির অংশীদার হিসেবে নাছিমা সাড়ে ৪ শতাংশ সম্পত্তি পায়। এ সম্পত্তি তিনি তার ৩ মেয়ের নামে দান করে এবং ৩ মেয়ের জামাই টাকা দিয়ে শ্বাশুড়ি নাছিমাকে ওই সম্পত্তিতে বাড়ি করে দেয়। শুক্রবার দুপুরে নাছিমার আপন ভাই এমদাদুল হক (৫৫) গং ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নাছিমার বাড়ি উচ্ছেদ করে। এতে নাছিমা মানবেতর জীপন-যাপন করছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয় এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবীর ভূক্তভোগী নাছিমা খাতুন ও তার সন্তানদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে ঘর করে দেয়ার জন্য এমদাদুল ও ফিরোজকে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের প্রেক্ষিতে বুধবার প্রায় দিনভর গ্রামবাসীর সহযোগীতা ও পুলিশের উপস্থিতিতে নতুন করে এ ঘর তৈরী করে দেয়া হয়।

এ সময় এসআই সৌমিক ইসলাম হৃদয়, এএসআই আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম সজল, হোসেন আলী ও আলতাফ হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ,সহযোগিতা,বাড়িঘর,তৈরী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত