ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কাউখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম

কাউখালীতে অবৈধ বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে কয়েকটি গ্রাম

কাউখালী কালীগঙ্গা নদীর সয়না মোহনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে দ্বীপ ইউনিয়নে হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রাম। জানা গেছে, কাউখালীর ১নং সয়না রঘনাথপুর ইউনিয়নে সয়না গ্রামের পশ্চিম পাশ থেকে বয়ে যাওয়া কালীগঙ্গা নদী। এ নদীর পিরোজপুরের হুলারহাট অংশে রয়েছে একটি বালু মহল। এই মহলটি সরকার ইজারা দিয়ে নিয়মিত রাজস্ব আদায় করছে।

অপরদিকে, কাউখালীর অংশে কোন বালু মহল না থাকলেও নিয়মিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এক শ্রেণির বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে কাউখালীর দ্বীপ ইউনিয়ন নামে খ্যাত ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙ্গনে বিলিন হয়ে যাওয়ার হুমকির মুখে। এসব গ্রামগুলো হলো সয়না, রগুনাথপুর, মেঘপাল, ধাবড়ী, বান্নাকান্না। এসব গ্রামের কয়েক হাজার লোকের এখন রাত-দিন দূশ্চিন্তায় কাটছে।

প্রতিনিয়িত বালু উত্তোলনের ফলে এমন অবস্থা হয়েছে বলে জানান, মেঘপালে স্থানীয় মেম্বর ফিরোজ খান। তিনি বলেন, নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ধাবড়ীর মাহবুব হাওলাদার, সত্তরশেখ, হানিফ শেখ, সুকুরঞ্জন হালদার, মন্নান হাওলাদারসহ অসংখ্য মানুষ। অনেকেই জমি ও বাড়ী হারিয়ে ভুমিহীন হওয়ায় ঠাই হয়েছে মুজিব বর্ষের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে।

নদী ভাঙ্গন রক্ষার জন্য এবং বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ কয়েক মাস পূর্বে জেলা প্রসাশক বরাবরে লিখিত আবেদনও করেন। ফলে জেলা প্রসাশন থেকে কালী ঙ্গা নদীর সয়না মোহনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারনে কয়েকদফা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। সম্প্রতি জেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রড তারিকুল আলম ড্রেজার থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। এতেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন থামছে না বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্য ফিরোজ খান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কাউখালীতে কোনো বালু মহল নাই। অবৈধভাবে যদি কেউ বালু উত্তোলন করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অবৈধ,বালু,উত্তোলন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত