সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ময়মনসিংহ এর নির্দেশে অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান ধারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হিসেবে স্বপদে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। বুধবার (২৪ মে) সকালে তাকে কলেজের বিভিন্ন শ্রেণীকক্ষে ক্লাস নিতে দেখা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ এপ্রিল গভর্নিং বডির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ২ কোটি ৪২ লাখ ৩২ হাজার ৭শত ১৯ টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ তছরুপ, কলেজের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি এমদাদুল হক (সাবেক এমপি) অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করণের পত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গাজীপুর কলেজ পরির্দশক বরাবর তিনটি কারণ দর্শানোর নোটিশ, তদন্ত প্রতিবেদন ও সাময়িক বরখাস্ত করণের রেজুলেশনের সত্যায়িত কপিসহ প্রেরণ করেন এবং অনুলিপি সহকারী রেজিষ্টার এবং ভাইস চ্যান্সেলর এর একান্ত সচিব, সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক, কলেজ অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেন।
সে প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ তৌফিকুর রহমান গত ২ মে ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গভর্নিং বডির সভাপতি এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন সদস্যদের বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৭৯/২৩। এর প্রেক্ষিতে সাময়িক বরখাস্তের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। বিবাদী পক্ষের আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮মে অধিকতর শুনানি শেষে বিচারক সাময়িক বরখাস্তের বিরুদ্ধে আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ বহাল রাখেন।
ধারা কলেজে ২০১৬ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন তৌফিকুর রহমান। বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় তিন হাজার ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং এর সহযোগিতায় গত ২০১৭ সালে অত্র কলেজে চারটি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়। কলেজটিতে বর্তমানে প্রায় ৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারি রয়েছেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুর রহমান স্যার আসার পর থেকে নিয়মিত পাঠদান এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে।