সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে গত ১০ মার্চ কর্মরত অবস্থায় হঠাৎ স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন বাংলাদেশি শ্রমিক তফাজ্জল হোসেন (৪২)। এ ঘটনার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো তার লাশ দেশে ফেরত আসেনি।
এনিয়ে লাশের অপেক্ষায় অসহায় স্বজনদের দিন কাটছে আহাজারি আর হতাশায়।
মৃত তফাজ্জল হোসেন ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের ভোলার আলগী গ্রামের মরহুম আশ্রাফ আলীর ছেলে।
তফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী শরীফা খাতুন জানান, গত ১০ মার্চ সৌদি আরবে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে। বর্তমানে তার লাশ সে দেশের সারফিয়া বর্ষন হাসপাতালে আছে। এ ঘটনার পর লাশ দেশে না আসায় গত ১১ এপ্রিল এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে প্রবাসী ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক বারবারে লিখিত আবেদন করেছি।
কিন্তু এখন পর্যন্ত জানি না আমার স্বামীর লাশ দেশে আসবে কি না ? বা কবে আসবে ? এই অবস্থায় প্রায় প্রতিদিনই আমার দুই শিশু সন্তান (ছেলে) জানতে চায়-তার বাবার লাশ কবে আসবে। তখন আমি তাদের কোন জবাব দিতে পারি না। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করছি- তারা যেন আমার স্বামীর লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহন করে দেন।
এদিকে মৃত ছেলের লাশের অপেক্ষায় প্রায় সময়ই কেঁদে কেঁদে জ্ঞান হারাচ্ছেন তফাজ্জল হোসেনের মা উম্মে কুলসুম।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা এস.এম. জাহাঙ্গীর সোহেল বলেন, লাশ দেশে ফেরত আনার আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে সর্বশেষ কোন তথ্য নেই আমাদের কাছে।