কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শামছুল হক (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে বাক প্রতিবন্ধী ২১ বছরের এক ইয়াতিম যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের অভিযোগে ওই বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে ইয়াতিম বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবতী মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন তার মা। শুক্রবার (২৬ মে) সকালে মেয়েটির এক খালা মারা গেলে প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে মৃত বোনকে দেখতে যান ওই যুবতীর মা। এই সুযোগে প্রতিবেশি বৃদ্ধ শামছুল হক মেয়েটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে জোড়পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। পাশের বাড়ির এক মহিলা ঘরের মধ্যে গোংড়ানির শব্দ পেয়ে আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ঘরের দরজা খুলে আপত্তিকর অবস্থায় বৃদ্ধকে দেখতে পায়। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে ওই বৃদ্ধকে আটক করেন। এ নিয়ে দিনভর বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানা পুলিশকে জানান ইউপি চেয়ারম্যান। পরে সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষক শামছুল হককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই বৃদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।