নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ২০০১ সালের পর যখন আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময় তখন এ শহরের অনেক রাঘববোয়ালরা পালিয়ে গিয়েছিল। তখন অনেকেই কথা বলতে পারেনি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সাহস করেনি। আমি তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ২০০৩ সালে পৌরসভা নির্বাচন করি। আমার সেই নির্বাচনে আহসানউল্লাহ চাচা (প্রয়াত) এসেছিলেন, আমার পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন। আমরা এমন নেতৃত্ব দিতে চাই যে মানুষের কাতারে আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। মুখে বলবে শেখ হাসিনা, কাজ করবে অন্যকিছু। বলবে নৌকা, কাজ করবে আরেকটা। আমরা এমন নেতা চাই না।
শনিবার (২৭ মে) বিকেলে শহরের শেখ রাসেল নগর পার্ক মাঠে বঙ্গসাথী ক্লাবের ৩২ বছর পূর্তি ও শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি অনুর্ধ্ব ১৬ ও মাস্টার্স ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলায় মেয়র আইভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে যে জায়গায় খেলা হচ্ছে এটা এক সময়ে রেলওয়ের বস্তি ছিল। এখানে এমন কোন কাজ নাই যেগুলো হতো না। যেমন মাদক ব্যবসা, অসামাজিক কার্যকলাপ নানা কিছু। সিটি করপোরেশন তখন এটাকে উচ্ছেদ করে। অনেক বাধা বিপত্তির পর উচ্ছেদ করে নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে পার্কটি করা হয়েছে। এর পেছনেও ছিল অনেক ষড়যন্ত্র। আশা করছি আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী এ পার্কটি উদ্বোধন করবেন।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টি মাঠের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো করতে পারিনি। কারণ জায়গার অভাব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুদের জন্য মাঠ পার্ক করতে হবে কিন্তু আমরা জায়গা পাইনি। আমাদের দুটি মাঠ ক্রীড়া সংস্থা দখল করে রেখেছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে মাঠগুলোতে খেলা হয় না। টুর্নামেন্ট ছাড়ে না বিধায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। আমার দুইটা মাঠ ওদের কাছে আছে। আমি অনুরোধ করবো, আমাদের মাঠ আমাদের দিয়ে দেওয়া হোক।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুব লীগের সভাপতি আবদুল কাদির প্রমুখ।
