সীতাকুণ্ডে সন্তানের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে বৃদ্ধ মায়ের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ১৮:৩০ | অনলাইন সংস্করণ

  সীতাকুণ্ড,(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

 

 চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছেলের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক বৃদ্ধ মা। মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি মা বৃদ্ধা রশিদা বেগম। তিনি উপজেলার বাঁশবাড়িয়া বোয়ালিয়াকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত শাহ আলমের স্ত্রী।

লিখিত বক্তব্যে রশিদা বেগম জানান, তার চার ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মোঃ নবী (৪৮) নিজ ইচ্ছায় পৃথক হয়ে চলাচলের রাস্তার পাশে  পাকা ঘর তৈরী করে। সে সময় তাকে বলা হয় কোনভাবেই চলাচলের রাস্তায় কোন স্থাপনা করা যাবে না। কিন্তু নবীর অন্য ভাইয়েরা প্রবাসে ও চাকুরির কারনে বাইরে থাকার সুযোগে একদিন রাতের আঁধারে ঘরের পাশে বড় করে ইটের গাথুঁনি (ডেইলা) তৈরী শুরু করে। 

এ সময় মা রশিদা বড় ছেলেকে গাঁথুনি নির্মাণ করতে বাধা দিয়ে জানান, এটি তৈরী হলে ঐ পথের শেষ দিকে বসবাসকারী তার তিন ভাইয়ের পরিবারসহ অন্যান্য প্রতিবেশিদের যাতায়াত বাধাগ্রস্থ হবে। সবাই দারুন কষ্টে পড়ে যাবে। চলার পথের উপর যেন কোন পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা না হয়। কিন্তু নবী মায়ের কথায় কর্ণপাত না করে গাঁথুনি নির্মাণ শেষ করে।

 পরে বিষয়টি জেনে তার অন্য ভাইয়েরা দেশে আসার পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু নবী ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হননি। পরে থানায় অভিযোগ দিলে থানা থেকে ডাকা হলেও নবী আসেনি। এতে কোন সমাধান হয়নি। বাধ্য হয়ে মা রশিদা অন্য ছেলেদের বলেন, নবী রাস্তা সরু করে ফেলায় আমার মৃত্যুর পর তোরা আমাকে কাঁধে করে বেরও করতে পারবি না। জায়গার মালিক আমি এবং তোরাও। তাই আমি নির্দেশ দিচ্ছি তোরা এই গাঁথুনি ভেঙে রাস্তাটা উন্মুক্ত কর। 

পরে মায়ের উপস্থিতিতে অন্য ছেলেরা গাঁথুনি ভেঙে সড়ক উন্মুক্ত করে। এতে নবী তার তিন ভাই ও দুই জেঠাত ভাইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। যা অন্যায় দাবী করে রশিদা বেগম আরো বলেন, নবী সমাজের সবার সাথে বেপরোয়া আচরণ করছেন। এলাকার সবাই তার প্রতি ক্ষুব্ধ। তাই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবার দাবী জানান মা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ছেলে রশিদা বেগমের ছেলে নুর মোহাম্মদ, মোঃ বেলাল, মেয়ে ডেইজি আক্তার, নাতি জাহেদুল হাসান, ভাসুর মহরম আলী, ভাসুর পুত্র মো: লিটন, মো: রুবেল প্রমুখ।