সেই মানসিক রোগীর পেট থেকে বের করা হলো আরো ৮টি কলম

সিরাজগঞ্জের সেই মানসিক রোগী আব্দুল মোতালেবের পেট থেকে আরো ৮ টি কলম বের করেছেন চিকিসকরা। সে বেলকুচি উপজেলার খুকনি গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে। এ নিয়ে ২ দফায় অস্ত্রোপচার ছাড়াই অ্যান্ডোস্কপির মাধ্যমে মানসিক ওই রোগীর পেট থেকে মোট ২৩টি কলম বের করা হলো।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ডা. কৃষ্ণ কুমার পাল বলেন, প্রায় ৪/৫ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত মোতালেব সম্ভবত পথে পথে ঘুরে বেড়ানোর সময় কলম কুড়িয়ে তা গিলে ফেলে। এক পর্যায়ে সে অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অনেকগুলো কলম দেখতে পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া স্বত্বেও কলমগুলো বের করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে তার পেট থেকে এক এক করে ১৫টি কলম বের করে। এরপর তার পেটে আরো ৮টি কলম থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় এবং সোমবার দুপুরে আবারো অ্যান্ডোসকপির মাধ্যমে তার পেট থেকে আরো ৮টি কলম বের করেন চিকিৎসকরা। তার পেটে এখন আর কোন কলম নেই এবং বর্তমানে সে সুস্থ রয়েছে। তবে মেডিকেল সাইন্সের ইতিহাসে মানুষের পেট থেকে এতগুলো কলম বের করার ঘটনা প্রথম বলে দাবী করেন তিনি। তবে কোনোপ্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়া এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে পেট থেকে কলম বের করা বাংলাদেশে প্রথম ঘটনা বলে দাবী করেছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস মোহাম্মদ খায়রুল আতাতুর্ক।

তিনি বলেন, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নতমানের অত্যাধুনিক সব ধরনের মেশিনসহ ৮ টি অ্যান্ডোসকপি মেশিন রয়েছে। এ ছাড়াও প্রত্যেক বিভাগে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও রয়েছে। এসব যন্ত্রপাতির অনেকগুলো চালু রয়েছে আবার যেগুলো বাকি আছে সেগুলোও অল্প দিনের মধ্যেই চালু করা হবে। এখন অত্যাধুনিক এন্ডোস্কোপি মেশিনের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার না করেই পিত্তথলি ও কিডনির পাথর ঢাকাসহ দেশের হাসপাতালগুলোতেই অহরহ বের করা হচ্ছে। এসব রোগের চিকিৎসার জন্য দেশের মানুষকে এখন আর বিদেশে যেতে হবেনা বা হয় না। চিকিৎসা সেবায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সিরাজগঞ্জসহ এ অঞ্চলের মানুষের আস্থার কেন্দ্র হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।