কক্সবাজারের টেকনাফের দমদমিয়াস্থ গহীন পাহাড় থেকে ৩ বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার মামলার কারাগারে থাকা অপর ২ আসামিকেও পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে গেছে। শুক্রবার (২ জুন) সকালে এই ২ জনকে কারাগার থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ২ আসামিকে রিমান্ডের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. শাহ আলম খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকালে নিয়ে যাওয়া আসামি ২ জন হলেন- টেকনাফের মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু সামাদের ছেলে সৈয়দ হোসেন প্রকাশ সোনালী ডাকাত এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের গোদারবিলের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এমরুল করিম প্রকাশ ফইরা।
বৃহস্পতিবার রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া ২ আসামি হলেন- টেকনাফের মোচনী ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে শফি আলম বেলাল, শফির ভাগিনা এবং একই ক্যাম্পের আবদুল মতলবের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত।
টেকনাফ থানার ওসি মো. আবদুল হালিম জানিয়েছেন, গত ২৮ মে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন কক্সবাজার চৌফলদন্ডী উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলমের ছেলে জমির হোসেন রুবেল, তার দুই বন্ধু ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ ও কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। ২৪ মে টেকনাফ পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গলিত মরদেহ ৩ টি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ ২ জন এবং র্যাব ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। পরে ৪ জনকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। ২৮ মে বিকালে টেকনাফ আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. এহাসানুল ইসলাম শুনানী শেষে ৪ আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর মধ্যে ২ জনকে বৃহস্পতিবার এবং ২ জনকে শুক্রবার রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ৪ জনই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আদালতে। এবার মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম, ঠিকানা যাচাই নানা প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ৪ জনের কাছে।