চট্টগ্রামে মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ‘কালু’ গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৩, ১৭:০২ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার পলাতক আসামি খাইরুল ইসলাম কালুকে প্রায় সাত বছর পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (২ জুন) রাত ২টার দিকে নগরীর আকবর শাহ থানার ছিন্নমূল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই টিম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, ওয়ারেন্টমুলে কালুকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি কালুকে শনিবার (৩ জুন) সকালে রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পিবিআই সূত্র জানায়, আসামি কালু ছিল মামলার মোস্ট ওয়ান্টেড। সে বিভিন্ন ছদ্মবেশে গত সাতবছর ধরে পালিয়ে থাকতে সক্ষম হয়। সর্বশেষ আকবর শাহ এলাকায় একটি ভবনে নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে চট্টগ্রামের একটি আদালতে। পলাতক কালুকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানার পাশাপাশি বিদেশযাত্রা ঠেকাতে তার পাসপোর্ট জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন করা হয়।
অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে। অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন— মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ, হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। অভিযোগপত্রের আসামিদের মধ্যে এখন শুধু মুসা পলাতক আছেন।