ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কার্যালয়ে হামলা ভাংচুর, ককটেল নিক্ষেপ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নৌকা সমর্থক উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ করেন বিদ্রোহী প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
এই ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর অন্তত - ১৫ কর্মী আহত হয়েছে। এর মাঝে ৮ জন গুলিবিদ্ধ বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার তারাকান্দা বাজারের থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে ময়মনসিংহ-শেরপুর এবং ময়মনসিংহ-হালুয়াঘাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সড়কের দুই পাশে অন্তত ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ময়মনিংসহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, তারাকান্দায় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্সকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর থেকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক। তার সাথে ঘোঢ়া প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগে মনোনয়ন বঞ্চিত বিদ্রোহী প্রার্থী নূরুজ্জামান সরকার বকুল।
এ ঘটনায় নূরুজ্জামান সরকার বকুল তার ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, নৌকার মিছিল হতে যুবলীগ নেতা আব্দুল মান্নান নিজ হাতে বন্দুক দিয়ে ও ছাত্রলীগের ক্যাডারগণ গুলি করেছে। বুকে গুলিবিদ্ধ সহ আহত অনেক আমি বাকরূদ্ধ ওসি ও এনএসআই, ইউএনও কে আগেই জানিয়েও কোন লাভ হয়নি, এদেশে বিচার নেই।
ওরা আমার নির্বাচনি হেড অফিসে গুলি করেছে। মন্ত্রী মহোদয় কাজটা ভালো করেন নাই, সবাইকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রশাসন নিরব কেনো ! এদেশে নির্বাচন করা কি পাপ ? জনগণের কাছে জানতে চাই।