ঢাকা ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

থামছেনা অপহরণ আতংক, পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের অভিযোগ

থামছেনা অপহরণ আতংক, পাঁচ রোহিঙ্গা অপহরণের অভিযোগ

কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড়ী এলাকা ঘিরে অপহরণ বাণিজ্য চলছে। কোনভাবেই থামছেনা অপহরণ আতংক। দু'কারনে অপহরণের ঘটনা ঘটছে বলে আইন-শৃংখলাবাহিনীর অভিমত। কিছু অপহরণ হচ্ছে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য। অন্য একটি হচ্ছে মাদক ব্যবসার টাকা আদায়ের জন্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত শুক্রবার (২ জুন) রাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্পের ডি/২০ ব্লক থেকে দুই কিশোরসহ পাঁচ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করেছে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা।

অপহৃতরা হলেন- হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী ক্যাম্প-২৫ ব্লক ডি/২২ এর বাসিন্দা নুর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুস (৩২), একই ক্যাম্পের সামসু আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (১৬), মোহাম্মদ রফিকের ছেলে মোহাম্মদ সুলতান (২৪), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬) ও মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে আনোয়ার ইসলাম (১৮)।

ওই ক্যাম্পের মাঝি নুরুল আমিন জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ডি/২০ ব্লকের রোহিঙ্গা রহিম উল্লাহর দোকানের সামনে থেকে ১২ থেকে ১৫ জন অস্ত্রধারী ক্যাম্পে বসবাসরত দুই কিশোরসহ ৫ রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে। এসব অপহরণকারীরা মুখোশ পরা ছিল এবং জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের পাহাড়ের চূড়ায় নিয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনার একদিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত অপহৃতদের কোন খোঁজ-খবর মিলেনি। তবে অপহরণের ঘটনাটি তাদের পরিবার আলীখালী এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পে অবগত করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মো. আব্দুল হালিম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণের বিষয়ে কোন সংবাদ পাইনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ অধিনায়ক পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ‘আলীখালী ক্যাম্প থেকে ৫ রোহিঙ্গাকে অপহরণের ঘটনাটি আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গেল আট মাসে টেকনাফে ৬৫ জন ব্যক্তি অপহরণের ঘটনা ঘটে। তন্মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিরা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফেরেন।

টেকনাফ,অপহরণ,বাণিজ্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত