বেশীরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদেরকেই হিফজ বিভাগে দেয়া হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হিফজ শেষ করেন। কিন্তু বেতিক্রম হয় অনেক ক্ষেত্রে। তেমনি উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া জুবায়ের আল জামি মাত্র ৭ মাসেই মহাগ্রহন্থ আল-কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেছেন। তার এই সফলতার প্রশংসা করেছেন শিক্ষকরা।
সম্প্রতি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাইতুন নূর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে হিফজ্ সম্পন্ন করেন। এ বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৮জন কুরআনে হাফেজ হয়েছেন। তার মধ্যে জুবায়েরই হচ্ছেন ব্যাতিক্রম।
জুবায়ের আল জামি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ওভারামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের সন্তান। ব্যবসায়ের সুবাদে ২০০০সাল থেকে হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ সংলগ্ন নিজস্ব ভবন তালুকদার নিকেতনে বসবাস করেন জুবায়ের পরিবার।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জাহাঙ্গীর আলমের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ছেলেকে পড়ান হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজে। ২০২২ সালে জুবায়ের অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। এরই মাঝে সন্তানকে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে বাইতুন নূর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করান তার পিতা। যারে সুফল মিলে মাত্র সাত মাসের মাথায়।
সন্তানকে ইসলামের শিক্ষায় সুশিক্ষিত করতে সকলের নিক দোয়া চেয়েছেন জুবায়েরের পিতা জাহাঙ্গীর আলম।
মাদ্রাসার শিক্ষকরা জানান, বাইতুন নূর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে শুধু জুবায়ের আল জামি নয়, মাত্র ১০ মাসে আব্দুল আহাদ ও দেড় বছরে হাফেজ হয়েছেন মোঃ সাইফ মিজি নামের আরো দুই শিক্ষার্থী।
মাত্র ১০ মাসে হাফেজ হওয়া আব্দুল আহাদ হাজিগঞ্জ উপজেলার ৩ নম্বর কালচোঁ ইউনিয়নের পিরোজপুরের মাটি গ্রামের প্রবাসী আল-আমিনের ছেলে। দেড় বছরে হাফেজ হওয়া মোঃ সাইফ মিজি হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গ্রামের শহীদ মিজির ছেলে।
মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ নাজির আহমদ বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবক ও নিজেদের মেহনতে শিক্ষার্থীরা হেফজ্ শেষ করে এবং শিক্ষির্থীর মেধা ভালো হলে আর অভিভাবকরা মেহনত করলে আশা করি এভাবেই আগামীদিনগুলোও শেষ করতে পারবো। জুবায়ের আল জামি মেধার পাশাপাশি তার আন্তরিকতার কারণে ৭ মাসে হিফজ সম্পন্ন করতে পেরেছে।
এই শিক্ষক বলেন, এই বছর বাইতুন নূর তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে ৪৮ জন হাফেজ ও মেয়ে শাখা থেকে ১৫ জন হাফেজা হয়েছেন।