ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চাঁদপুরে বাজারের ব্যাগ থেকে নবজাতক শিশু উদ্ধার

চাঁদপুরে বাজারের ব্যাগ থেকে নবজাতক শিশু উদ্ধার

বাজারের ব্যাগ থেকে কেঁদে উঠে নবজাতক শিশু। পরে বাজারের ব্যাগটি তল্লাশি করে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় সদ্য জন্ম নেওয়া একটি ফুটফুটে নবজাতক শিশুকে। রোববার (৪ জুন) দুপুরে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকা হতে ওই নবজাতককে এনে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শনিবার গভীর রাতে ষোলঘর পাকা মসজিদ সংলগ্ন স্থানের পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছে ঢালী বাড়ির খোকন ঢালীর গরু রাখার ঘরের পাশ থেকে নবজাতক শিশুটিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই বাড়ির বাসিন্দারা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে গরু রাখার ঘরে গরুকে ঘাস দিতে যান নিজামউদ্দিন ঢালী। ওই সময় শিশুর কান্নার শব্দ শুনে পার্শ্ববর্তী একটি ঝুলন্ত ব্যাগে তল্লাশি করে রক্তাক্ত ও জীবন্ত নবজাতক শিশুকে দেখতে পায়। পরে নবজাতকের শরীর পরিষ্কার করে রাতেই প্রাইভেট চেম্বারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আজিজুর রহামনকে দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী জানান, কে বা কারা নবজাতক শিশুটিকে রাতের আঁধারে মুখে গামছা পেঁছিয়ে বাজারের ব্যাগে ঢুকিয়ে ঢালীবাড়ির গরুর ঘরে রেখে পালিয়ে গিয়েছে।

রোববার দুপুরে খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মো. কবির হোসেন ওই নবজাতকে তাদের বাড়ি থেকে এনে নিজামের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সখিনা বেগমের তত্বাবধানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই নবজাতক পুলিশ হেফাজতে সখিনা বেগমের তত্বাবধানে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে।

ঢালী বাড়ির হানিফ ঢালীর স্ত্রী সখিনা বেগম জানান, শনিবার রাতে আমার ভাসুর গরুর ঘরে তার গরুকে ঘাস দিতে গিয়ে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখেন একটি বাজারের ব্যাগের মধ্যে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তারপর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে আমরা পরিষ্কার করি। আমারও একটি শিশু সন্তান রয়েছে, তার সঙ্গে এই নবজাতককে বুকের দুধ পান করাই।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই কবির হোসেন জানান, থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে আমি খবর পেয়ে ওই বাড়ি থেকে নবজাতক শিশুকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সে এখন সখিনা বেগমের তত্ত্বাবধানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।

নবজাতক,শিশু,উদ্ধার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত