দাগনভূঞায় কলেজছাত্রকে আটকে রেখে র্যাগিং
প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ১৫:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফেনী, প্রতিনিধি
ফেনীর দাগনভূঞা সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের একাদ্বশ শ্রেণির ব্যবসা শাখার ছাত্র মেহেদী হাসান গত (২৯মে) সহপাঠী তৌসিফ, সোহান, মিঠু, রানা, সামির হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। যা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, একাদশ শ্রেণির ছাত্র তৌসিফ, সোহান, মিঠু, রানা, সামির ব্যাবসা শাখার ছাত্র মেহেদী হাসান কলেজের ৩য় তলায় স্কাউট রুমে একটি চেয়ারে বসিয়ে তাকে শারীরিক মানসিক টর্চার করছে। এই ঘটনায় তার মা মমতাজ বেগম রোববার রাতে উপরোক্ত পাঁচ ছাত্রকে আসামি করে দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণীতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, এছাড়াও তারা কলেজের বিভিন্ন মেয়েদের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে দিতে বলে তার ছেলে মেহেদী কে। তাতে মেহেদি ব্যর্থ হওয়ায় ওরা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে। ঘটনাটি কাউকে জানালে তার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় উপরোক্ত ৫ আসামী। তার মেহেদী তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে বলে তিনি মামলায় উল্লেখ করেন।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, র্যাগিংয়ের শিকার মেহেদী হাসানের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে কলেজ পরিদর্শন করে অভিযুক্তদের খুজে বের করার চেষ্টা করি। তাতক্ষণিকভাবে পুলিশের উপস্থিতিতে পেয়ে তারা কলেজ থেকে পালিয়ে যায়। আশা করছি অচিরে তারা ধরা পড়বে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল মনজুরুল হক পাপ্পু জানান, মেহেদী হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যেই বিএম শাখার ছাত্র সোহানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আগামী মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে আমরা সকলকে চিহ্নিত করতে পারবো।