ভয়াবহ ভাঙ্গনে ঘরবাড়ি বিলিন, গৃহহারা হচ্ছে অনেক পরিবার

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ১৭:৫৭ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা নদীর কয়েকটি স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে বাড়িঘর ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এতে গৃহহারা হয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রাম আরকান্দিসহ বিভিন্ন স্থানে যমুনা নদীতে এ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রায় ২ সপ্তাহ ধরে এ ভাঙ্গনে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর, গাছপালা ও বহু জায়গা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ভাঙ্গন ঠেকাতে কয়েকদিন ধরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে কাজ করায় ভাঙ্গন রোধে তেমন কাজে আসছে না। ভাঙ্গন স্থানে বস্তা ফেলা হলেও সেখানে আবারো ভাঙ্গণ দেখা দিচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গণ এলাকার প্রায় ১০০ গজ দূরে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ভাঙ্গন স্থানে বস্তা ফেলার পরেও আবারো ভাঙ্গণ দেখা দিচ্ছে।

এ বালু উত্তোলনে সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট হলেও ভাঙ্গণ রোধ হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমাগতভাবে। অথচ শুষ্কমৌসুমে ভাঙ্গন রোধের কাজ না করে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়ে যখন ব্যাপক ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে, ঠিক তখন থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে নৌকাযোগে বস্তা ফেলছে।

কয়েকেদিন যেতে না যেতেই আবারো ভাঙ্গনে যমুনায় বিলিন হয়ে যায়। এতে এ বস্তা ফেলা কোনো কাজেই আসছে না এবং কতিপয় প্রভাবশালীরা প্রতিদিন বালু বিক্রি করায় এ ভাঙ্গণের তান্ডব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।

বালু ব্যবসায়ীরা অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে না। ঠিকাদারের লোকজন বালু উত্তোলন করে তা ভাঙ্গণ স্থানে ফেলা হচ্ছে। একটি কুচক্রিমহল ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভাঙ্গন রোধে যথানিয়মের কাজ চলছে। কাজে ধীরগতির কোন কারণ নেই।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন আলোকিত বাংলাশেকে বলেন, ভাঙ্গণ রোধে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। শীঘ্রই ভাঙ্গন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে এবং এ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী হচ্ছে। তাদের আর্থিক সহযোগীতা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।