বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন 

প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৩, ২০:২৯ | অনলাইন সংস্করণ

  ঈশ্বরদী,(পাবনা) প্রতিনিধি

পরিবেশের দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের আয়োজনে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সহায়তায় সোমবার (৫ জুন) দিনব্যাপী ঈশ্বরদীতে বিশ্ব পরিবশে দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তী পালিত হয়েছে।

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের দ্বারা ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া মোড়ে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, দাশুড়িয়া এম. এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে কয়েক সহস্রাধিক শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের অংশগ্রহনে রঙ্গিণ শিক্ষামূলক ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।

বক্তব্য রাখেন, এতমস্ট্রয় এক্সপোর্টের হেড অফ কম্যুনিকেশন্স নিনা দেন্তসোভা, রসাটমের এনার্জি অফ দ্যা ফিউচার এর ডেপুটি ডিরেক্টর আলেক্সান্ডার বেয়বেকভ, রসাটমের দক্ষিণ এশিয়ার পি আর ম্যানেজার সেনিয়া ইয়েলকিনা, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার আরিফুজ্জামান, ভাস্কর্য্য শিল্পী রূপম রায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান, দাশুড়িয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান বকুল সরদার এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী।   
নিনা দেন্তসোভা বলেন।

পরিবেশ দিবসে এবারের থিম ‘প্লাস্টিক দূষণের সমাধান’। বর্তমান বিশ্ব প্লাস্টিক সামগ্রী দিয়ে বলতে গেলে প্লাবিত হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর ৪০ কোটি টন প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে যার অর্ধেক এক বার ব্যবহার করে ফেলে দেয়া হয়। প্লাস্টিকের এই বর্জ্য বর্তমান পরিবেশের জন্য এক ভয়ংকর হুমকী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ থিমকে মাথায় রেখেই রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

আলেক্সান্ডার বেয়বেকভ বলেন, পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় ৫ থেকে ৭ জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচির অন্যতম আরেকটি লক্ষ্য হলো নিউক্লিয়ার এনার্জীর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা। বর্তমান বিশ্বে লো-কার্বন এবং নির্ভরযোগ্য বিদ্যুতের উৎস হিসেবে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিশ্বকে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতা থেকে এক দিকে যেমন সুরক্ষা দিচ্ছে। অন্যদিকে পৃথিবীর ইকোসিস্টেম পুনরুদ্ধারেও তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জানা গেছে,এসব প্রোগ্রামের ডিজাইন ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ঈশ্বরদীস্থ পারমাণবিক তথ্যকেন্দ্র। সর্বাঙ্গীন সহায়তা প্রদান করছে রূপপুর এনপিপি’র জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাকটর এতমোস্ত্রয়এক্সপোর্ট (রসাটমের প্রকৌশল শাখা)।