পেয়াজ আমদানি শুরু, এক দিনেই দাম কমেছে ২৫ টাকা 

প্রকাশ : ০৬ জুন ২০২৩, ১৬:০৫ | অনলাইন সংস্করণ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

আড়াই মাস পর ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়ার পর এক দিনেই কেজি প্রতি পেয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। ১৪ জন আমদানি কারক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন, ভারতীয় পেয়াজ আমদানির অনুমতি পত্র পেয়েছেন।

এদিকে পেয়াজ আমদানির জন্য মেয়াদ,উত্তীর্ণ এলসি’র মেয়াদ হালনাগাদ করার কাজ শুরু করেছে বিভিন্ন ব্যাংক।দেশীয় পেয়াজ উৎপাদানকারীদের স্বার্থ রক্ষা তথা ন্যায্য মূল্য প্রান্তির নিশ্চয়তার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয়।

আমদানির অনুমতি পত্র না থাকায় দেশের খোলা বাজারে পেয়াজের সরবরাহ করে যায়। হু হু করে বেড়ে যায় পেয়াজের ঝাঁজ। সামনে কুরবানী ঈদের কথা বিবেচনা করে কৃষি মন্ত্রণালয় পেয়াজের বাজার ভোক্তাদের জন্য সহনীয় পর্যায় রাখার উদ্দেশ্যে গত পরশু শনিবার ভারত থেকে পেয়াজ আমদানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে আমদানি ঘোষণা দেয়।

রোব ও সোমবার দু’দিনে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলি দিয়ে ১০ ট্রাকে পেয়াজ এসেছে প্রায় ১৫০ মেট্রিক টন। ভারত থেকে পেয়াজ আসার ফলে একদিনেই পাইকারী ও খুচরা বাজারে পেয়াজের দাম কমেছে ২০ থেকে ২৫ টাকা

 আগামী ১ সপ্তাহ পর যখন বাজারে পুরোদমে ভারতীয় পেয়াজ সরবরাহ করা হবে তখন দাম অর্ধেকে নেমে আসবে বলে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কথা।

বর্তমানে দু’দিনে আগেও কেজি প্রতি পেয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা দরে। আর একদিন পরেই সোমবার পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। এ দর আরও কমে আসবে। দিনাজপুরের পেয়াজের বড় আড়ৎ বাহাদুর বাজারের ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন, মাজেদুর রহমান ও অলিউর রহমান জানান, এর আগে বাজারে পেয়াজের সরবরাহ কম থাকায় আমরা বেশী দামে পেয়াজ কিনে হাটে বাজারে সরবরাহ করতাম।

খোলা বাজারে ৯০ টাকা পর্যন্ত পেয়াজ কেনা বেচা হয়েছে। কিন্তু সরকার পেয়াজ আমদানি অনুমতি দেয়ায় এখন পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী কুরবানী ঈদে পেয়াজের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে থাকবে।

এতে সাধারণ ক্রেতারা বর্তমান বাজারের তুলনায় অর্ধেক দামে পেয়াজ কিনতে পারবেন। ব্যবসায়ীরা বলেন অধিক মুনাফার আশায় অনেক পাইকারী ব্যবসায়ী যথেষ্ট পরিমান পেয়াজ মজুদ করেছিলেন। কিন্তু এখন আমদানির ফলে পেয়াজের দাম কমে যাওয়ায় তাদের লোকসান গুনতে হবে। 

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন আড়াই মাস পর কৃষি মন্ত্রণালয় পেয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ায় গতকাল সোমবার পর্যন্ত ১৪ জন আমদানি কারক হিলি স্থলবন্দর বন্দর দিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন, পেয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। আগামী ৭ দিনে পেয়াজ আমদানির পরিমান ও আমদানিকারকের সংখ্যা বেড়ে যাবে।

তিনি বলেন, গত ১৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়। বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ ডলারে পেয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পেয়াজের কেজি প্রতি বিক্রয় মূল্য দাড়াবে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। হিলি স্থলবন্দরের উপসহকারী সংঘ নিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান।

এই বন্দর দিয়ে গত দু’দিনে পেয়াজ এসেছে ১৫০ মেট্রিক টন,। ক’দিন পর এর পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। পেয়াজ আমদানির ফলে হিলি স্থলবন্দরে কর্মচঞ্চল্যতা বেড়ে গেছে। প্রখর তাপদাহ উপেক্ষা করে শ্রমিকরা পচনশীল এই দ্রব্য লোড আনলোডে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।