সিরাজগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাবের ঘটনায় তদন্ত শুরু

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গোন্তা আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আজাহার আলী এক শিক্ষার্থীকে উক্তাত ও কুপ্রস্তাব দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে পাঠদান বর্জন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি আতিকুর রহমানকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির অপর ২ সদস্য হলেন, ওই বডির শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল হামিদ ও সোলায়মান। গঠিত এ কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ টি আর মো: আব্দুল মান্নান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) আজাহার আলী অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে উক্তাত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়া অবহ্যত রাখে। গত ৩১ মে ক্লাশ চলাকালীন ওই শিক্ষাথীর প্রতি কুনজর ও কুপ্রস্তাব দেয়। এমনকি ওই শিক্ষক তার হাতে শিক্ষাথীর নামও লেখে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন (০১ জুন) ও মঙ্গলবার (০৬ জুন) সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে বিক্ষোভ করে। এমন অভিযোগ ভুক্তিভোগী শিক্ষার্থী তার অভিভাবকদের জানায় এবং মাদ্রাসা যাওয়া আসা বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর বাবা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির জরুরি বৈঠকে এ তদন্ত কমিটি গঠনের সিধান্ত নেয়া হয় এবং তদন্ত শেষ না  হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে ওই সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) আজাহার আলী সাংবাদিকদের বলেন,  তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির সভাপতি আতিকুর রহমান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।