ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা টাকার দাবীতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা টাকার দাবীতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁও সুগারমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা ১৪ কোটি টাকা পরিশোধের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারি ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (৭ জুন) সকালে ঠাকুরগাঁও সুগারমিল মূল গেটের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারি ও কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা মাহমুদ উর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমজাত হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক নেতা রুস্তম আলী, রফিকুল আলমসহ অন্যান্য। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করেন তারা।

এ সময় সমিতির নেতারা দূরদশার কথা তুলে ধরে অবিলম্বে পাওনা টাকা পরিশোধের জোর দাবী জানান। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয় ৮০ এর দশক পর্যন্ত চিনিশিল্প লাভজনক ছিল। পরবর্তীতে আখচাষিরা স্বল্পমেয়াদী ফসল সবজি ও ফল চাষে ঝুঁকে পড়ায় আখচাষ উপযোগী উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমি ক্রমান্বয়ে কমার ফলশ্রুতিতে আখ চাষ কমতে থাকে। আখচাষে আগ্রহী করার লক্ষ্যে ও চাষিদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক বার বার আখের মূল্য বৃদ্ধি করে।

কিন্তু অধিক চিনিসমৃদ্ধ আখের জাতের স্বল্পতা, দক্ষ জনবলের অভাব, পুরাতন ও জরাজীর্ণ কারখানার কারণে অপচয় বৃদ্ধির ফলে চিনি রিকভারি হ্রাস পায়।

এছাড়াও শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি, কারখানা রক্ষণাবেক্ষণ, ব্যাংক ঋণের সুদসহ অন্যান্য উৎপাদন সামগ্রী ক্রয়বাবদ খরচ বৃদ্ধির ফলে প্রতিকেজি চিনি উৎপাদন খরচ বিক্রয়মূল্যের চেয়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পায় এতে ট্রেড গ্যাপ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় করর্পোরেশন আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হয়।

স্মারক লিপিতে আরও উল্লেখ করা হয় দ্যা পাবলিক কর্পোরেশন (ম্যানেজমেন্ট) কো-অডিনেশন অর্ডিনেন্স ১৯৮৬ এর ১১ ধারা অনুযায়ী কোন সরকারি করপোরেশন বা এর কোন প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নির্দেশনাবলী অনুসরণ করে ব্যবসায় লোকসানের সন্মুখিন হলে সরকার উক্ত প্রতিষ্ঠানের লোকসান ক্ষতিপূরণ করবেন মর্মে উল্লেখ রয়েছে।সে মোতাবেক অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে ভর্তুকি আকারে কিছু অর্থ প্রদান করেছেন যা অপ্রতুল।

পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগের পর বিএসএফআইসিকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় উক্ত টাকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের কোন টাকা প্রদান করা হয়নি। ইতোমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত অনেক সদস্য অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।

ঠাকুরগাঁও,শ্রমিক,কল্যাণ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত