বেনাপোলের ছোটআঁচড়া মোড়ে একটি তালাবদ্ধ অফিস ঘরে বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাত আনুমানিক ৫ টার দিকে বোমার বিকট শব্দে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙে যায়। সকালে বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ খবর পেয়ে ছুটে আসে। তালাবদ্ধ ঘরের সার্টার খুলে পুলিশ বোমার বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে। বোমার বিকট শব্দে ঘরের দেয়ালের একাংশ ধ্বসে পড়েছে এবং সার্টার মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাশের দোকান। এ ঘটনার পর থেকে ভাড়াটিয়া পিচ্চি লিটন ওরফে সোলা লিটনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
বেনাপোল পোর্ট থানার সাব ইন্সপেক্টর সোহেল মাহমুদ এবং এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে জানান, আবাসিক এলাকার ভেতর একটি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ভারতীয় মাছের ট্রাকে থাকা ককসিটের ব্যবসা করতো স্থানীয় খড়িডাঙ্গা গ্রামের পিচ্চি লিটন। পাশাপাশি সে আলিফ ট্রান্সপোর্ট নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ট্রাক ও ট্রেইলারের ভাড়া ব্যবসা করতো।
এলাকাবাসী জানান, ট্রাক ও ট্রেইলারের বন্দবস্ত নিয়ে অন্যান্য ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির সাথে লিটনের বিরোধ ছিলো। এছাড়া ভারত থেকে আমদানিকৃত মাছের ট্রাকে কর্কসিট এবং তুষের সিন্ডিকেট ব্যবসা ছিল লিটনের। লিটন ছিল সিন্ডিকেটের হোতা। এ নিয়ে অন্যান্য কর্কসিট ব্যবসায়ীদের সাথে তার বিরোধ ছিল। আধিপত্য বজায় রাখতে লিটন অফিস ঘরের মধ্যে বোমা রাখতে পারে বলে এলাকাবাসী জানান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, ঘরের মালিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান। প্রচন্ড গরমে বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ঘরে রাখা শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণে ঘরের দেয়াল ধ্বসে পড়েছে এবং বাকি অংশ ফেটে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। পিচ্চি লিটনকে আটকের জন্য তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।