পেট্রোলের আগুনে ঝলসে যাওয়া হোটেল ম্যানেজারের নির্মম মৃত্যু
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ১৭:০৫ | অনলাইন সংস্করণ
দুমকি(উপজেলা) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীতে চাঁদা না দেয়ায় বখাটের ছোড়া পেট্রোলের আগুনে ঝলসে যাওয়া পৌর শহরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার সিকদার রেস্ট হাউজের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরের মৃত্যু হয়েছে
বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ।
এদিকে তার মৃত্যুতে দুমকি উপজেলার মুরাদিয়ায় তার নিজ বাড়িতে চলছে শোকের মতম। এছাড়া জাহাঙ্গীর হত্যার বিচার চাই নামক মেসেঞ্জার গ্রুপে হত্যা কারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন মুরাদিয়া তথা দুমকির বিভিন্ন স্তরের লোকজন।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জামাল ফকির গত ৬ জুন সাকিব গাজী ও শাহীন গাজী এবং অজ্ঞাত ৪/৫ জনের নামে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, আমার ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর একজন ভালো ছেলে ছিলো, সে পটুয়াখালীর শিকদার আবাসিক হোটেলে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিল, দুষ্কৃতকারীরা তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে সে কয়েক দিন যাবত শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন।আমি প্রশাসনের কাছে তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক সৈয়দ ফজলুল হক বলেন, জাহাঙ্গীরের হত্যাকান্ড মধ্যযুগে বর্বরোচিত একটি ঘটনা আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করছি।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে আমাদের একটি টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য গত ২ জুন সন্ধ্যায় পটুয়াখালী পৌর শহরের ফটিকের খেয়াঘাট এলাকার সিকদার রেস্ট হাউজের দ্বিতীয় তলায় এসে ম্যানেজার জাহাঙ্গীর ফকিরের কাছে চাঁদা দাবি করেন শাকিব গাজী পরে চাঁদা না দেয়ায় তার গায়ে পেট্রোল নিক্ষেপ করেন।
এসময় ম্যানেজার জাহাঙ্গীরের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তার গায়ে আগুন দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার করা হলে দীর্ঘ পাঁচ দিন পর আজ সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।