সিরাজগঞ্জে হাঁস বিতরণে অনিয়ম প্রানিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৩, ২০:২৪ | অনলাইন সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক, সিরাজগঞ্জ

 


সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলা সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারে মাঝে হাঁসের বাচ্চা বিতরণকে কেন্দ্র বিক্ষুব্ধ সুফলভোগীরা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও করেছে। হাঁসের পরিবর্তে বাচ্চা বিতরণ করায় তারা ওই কার্যালয় ঘেরাও করে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্প্রতিবার সকালে এ হাঁস বিতরণের উদ্ভোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।  উদ্বোধনের পর হাঁস নয় হাঁসের বাচ্চা বিতরণ করায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ৫’শটি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০হাজার হাঁস বিতরণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর।

একটি সুফলভোগী পরিবার পাবে ২০টি হাঁস। একেকটি হাঁস হবে খাকি জাতের, যার বয়স হবে ৫০ দিন এবং  ২০টি হাসের ওজন হবে ১৬ কেজি। এ হাঁস বিতরণ কাজের দায়িত্ব পায় জেনন্টেক ইন্টারন্যাশনাল লিঃ নামে ঠকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ২০ টি হাঁসের ওজন ১৬ কেজির জায়গায় বিতরণ করা হয় ৫/৭ কেজি ওজনের হাঁসের বাচ্চা।

একপর্যায় সুফল ভোগীরা প্রাণী সম্পদ অফিস ঘেরাও করলে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। অনেক সুফলভোগী বলছেন,  প্রকল্পের আওতায় প্রথমে আমাদের হাঁস পালনে ট্রেনিং দেয়া হয়। ট্রেনিংয়ে বলা হয় খাকি জাতের হাস দেয়া হবে। এখন এসে দেখছি এ গুলো ২০ টি বাচ্চা হাঁস দেয়া হচ্ছে।

আমরা দিনমজুর মানুষ,দিন আনি দিন খাই,আমরা কামলা কামাই দিয়ে  আজকে ৩ থেকে ৪ শ টাকা গাড়ি ভাড়া করে এ হাঁস নিতে এসেছি। কিন্তু এ হাঁস বিতরণে অনিয়ম করেছে তাই আমরা প্রাণী সম্পদ অফিস ঘেরাও করেছি।

এ বিষয়ে সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন সাংবাদিকদের বলেন, আমার ইউনিয়নে ২৭০ জন সুফল ভোগীদের খাকি হাঁস দেয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে বাঁচ্চা হাস।

এ  অনিয়মের কথা শুনেছি। ২০টি হাঁস ১৬ কেজি ওজন হওয়ার কথা থাকলেও  ৫/৭ কেজি পরিমানের বাঁচ্চা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২০ টি হাঁসের ওজন ৫/৭ কেজি হওয়ায় বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলায় ৫’শ টি খামারীদের মাঝে ২০ টি করে হাঁস বিতরণ করা হবে। ২০ টি হাঁসের ওজন হবে ১৬ কেজি। খামারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওজনে কম হাঁসের বাচ্চাগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৃপ্তি কণা মন্ডল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে শুধু উদ্বোধনের দাওয়াত দেয়া হয়েছিলো। উদ্বোধনের সময় বড় হাঁস দিয়েই উদ্বোধন করে এসেছি। পরে কি হয়েছে সে বিষয়ে জানা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।