পটুয়াখালীর দুমকীতে কেরোসিনের আগুনে ঝলসে গেছে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মিম (২০) ও তার ৬মাস বয়সের ছেলে ওয়ালিফ ইসলাম জিসানের শরীর।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় মৃত. শাহজাহান দারোগার ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সহকারি পুলিশ সুপার(বাউফল সার্কেল) শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী ও দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল বাশার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতানী গ্রামের জামাল হোসেন প্রিন্স পারিবারিক কলহ এড়াতে গত একসপ্তাহ ধরে নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান দারোগার বাসায় স্ত্রী ও ৬মাসের শিশুকে নিয়ে ভাড়া বাসায় ওঠেন। দুপুরে স্বামী কর্মস্থলে গেলে সেই ফাঁকে কে বা কারা হাত পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর মাস্টার জানান, ডাকচিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ। ভেতরে আগুন জ্বলছে। দ্রুত দরজা খুলে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করি। ওই গৃহবধূর স্বামী জামাল হোসেন প্রিন্স বলেন, দুপুরে খাবার খেয়ে ভার্সিটিতে অফিসে চলে যাই। এরপর ফোন পেয়ে মীমকে ও আমার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
এক প্রশ্নের উত্তর তিনি আরও বলেন, আমার শত্রু পক্ষ এমন কাজ ঘটাতে পারে বলে আমার মনে হচ্ছে।
তবে হালিমা আক্তার মীমের শ্বাশুড়ির বলেন, এই বউয়ের লগে ৩ জনের লগে সম্পর্ক। একজন হইছে চাচতো বোনাই। আর ২ জন ঢাকা থাহে, হ্যা ক্যারা আমি জানি না। ঢাকার জনার কতা নিজেই স্বীকার পাইছে। এলাকার মানেও(মানুষ) জানে।
দুমকী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবুল বাশার বলেন, আমরা ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে দেখছি এবং আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছি।