মেয়র-সহ ৪০জনের নামে মামলা’ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ২০:৩৩ | অনলাইন সংস্করণ

  সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি

পাবনার সাঁথিয়ায় পৌরসভার প্যানেল মেয়রসহ ৪০জন নারী পুুরুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ভূক্তভোগি এলাকাবাসি। শুক্রবার (৯ জুন) দুপুরে সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানবন্ধন  করেন এলাকাবাসি।

সাঁথিয়া থানায় দায়েকৃত এজহার সুত্রে জানা যায়,সাঁথিয়া উপজেলার আরাজি গোপিনাথপুর গ্রামের মৃত লোকমান হোসেনের স্ত্রী,পুত্র,কন্যা ও পুত্রবধুদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে উভয়ের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলছে।

(২০ মে)  লোকমান হোসেনের ছোট ছেলে শান্তর স্ত্রী বেনজির আক্তারকে অপহরণ ও তার স্বামী শান্তকে খুনের উদ্দেশ্যে বাড়িতে আক্রমনের অভিযোগে ১৫জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন বেনজির আক্তার। যার মামলা নং-২১,তারিখ-২০-৫-২৩ইং।

এ ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে বেনজির আক্তার তার বোন সালমা খাতুনেকে মারপিটের অভিযোগ এনে বোন সালমা খাতুন বাদী হয়ে (৮ জুন) ২৫জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

যার নং-৮,তারিখ ৮-৬-২৩ইং। মামলা দুইটিতি সাঁািথয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল হামিদসহ গ্রামের ৪০জন নিরিহ বৃদ্ধ নারী-পুরুষকে আসামি করা হয়েছে। যা এলাকাকাসী জানেনই না।

তারা অভিযোগ করে বলেন, একজন একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিল এতে থানা পুলিশ কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ায় গ্রামবাসির মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাঁথিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল হামিদ বলেন, আমি প্যানেল মেয়র বাদীর পারিবারিক সমস্যা বিচার শালিশ আমরা করে দিছি।

তার শাশুরীকে মারধোর করে ঘরে আটকিয়ে রেখেছিল। পরে ইউএনও মহোদয় এসে মুক্ত করেন। তিনি বলেন, ওসি সাহেব এলাকায় যাচাই না করে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই কিভাবে মামলা গ্রহণ করলো। এটা খুবই দুঃখজন যে একটা মিথ্যা বানোয়াট একটি মামলা রেকর্ড করলেন।

মানববন্ধনে মামলার আসামি সাঁথিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল হামিদ ব্যাপারি,শাহনাজ বেগম,আজিজুল মোল্লা,ওহাব আলী, বাছেদ প্রামানিক ও মুর্শিদা খাতুন জানান,থানা পুলিশ তদন্ত না করেই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সেই সাথে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবী জানাই।

সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তদন্ত করে মামলা রুজু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার (৯ জুন) উভয়  পক্ষের মধ্যে মিমাংসার জন্য থানায় ডাকা হয়েছে।