নীলফামারী সদর থানায় শনিবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের হাতে উদ্ধার হওয়া ১৫ লাখ টাকা তুলে দেন। এ সময় অফিসার ইনচার্জ খান মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বগুড়ার ধুনট চৌকিবাড়ি এলাকার মৃত আমীর হামজার ছেলে। তিনি ভুট্টা কিনতে নীলফামারীতে এসেছিলেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান শাহরিয়ার বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক ব্যবসায়ী জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে জানান সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কানাইকাটা এলাকায় চায়ের দোকানে ভুলে ব্যাগ রেখে এসেছেন। হারিয়ে যাওয়া ব্যাগে ১৫ লাখ টাকাসহ অফিসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্টও ছিল, যা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
খবরটি পাওয়া মাত্র নীলফামারী সদর থানার মোবাইল টিমের দায়িত্বরত এসআই রনি কয়েকজন পুলিশ সদস্য সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিক উক্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেন। পরে বিকেল ৩টার দিকে চায়ের দোকানদার জবেদ আলীর বাড়ি থেকে টাকার ব্যাগটি সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যায় সবার উপস্থিতিতে টাকার ব্যাগটি প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, এই টাকাটা আমাদের ভুট্টা ব্যবসার টাকা। টাকাটা হারানোর পর ৯৯৯-এ ফোন করি। পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে হারানো টাকাটা ফিরে পেয়েছি। এজন্য নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান শাহরিয়ার এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সাথে সাথে আমরা একটি টিম পাঠাই। প্রায় ৪ ঘণ্টা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অক্ষত ১৫ লাখ টাকা উদ্ধার করি। পরে সন্ধ্যায় থানায় সবার সামনে প্রকৃত মালিক রফিকুল ইসলামের হাতে উদ্ধারকৃত টাকা তুলে দেই।
