নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় রং নম্বরে পরিচয়ের পর অপহরণ করে এক মাদরাসা ছাত্রীকে (১৯) ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম মো.নাজিমুল হক সুমন (২৬)। সে সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নর পূর্ব সাহাপুর গ্রামের হাজী মজিবুল হকের ছেলে।
রোববার (১১ জুন) সকালে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, শনিবার ভোর রাতের দিকে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। একই দিন রাত ১০টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান।
জানা যায়, ওই তরুণী উপজেলার স্থানীয় একটি ফাজিল মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। গত চার মাস আগে তার ব্যবহৃত নম্বর থেকে একটি নম্বর ভুল হয়ে সুমনের মুঠোফোনে কল চলে যায়। পরবর্তীতে সুমন তাকে প্রতিনিয়ত কল করতো। এরপর সুমন ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে শুধুমাত্র ভিকটিমের সাথে একবার দেখা করার অনুরোধ করে। ভিকটিম তার কথা বিশ্বাস করে দেখা করার প্রস্তাবে রাজি হয়। একপর্যায়ে গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সুমন অজ্ঞাত আসামিদের সহযোগীতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়ার পথে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়নপুর এলাকায় তার খালা মর্জিনা আক্তারের ইসমাইলামিয়া চৌকিদার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রুমি আক্তার ও মর্জিনা আক্তারের সহযোগীতায় ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে সুমন। এরপর ভিকটিমকে তাদের বসত ঘরে আটকে রাখে। ভিকটিম গত ৭ মে ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার জন্য উঠলে, একটি মোবাইল দেখে কৌশলে তার ভাইয়ের মুঠোফোনে ম্যাসেজ দিয়ে সংক্ষেপে ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে ঘটনাস্থলের নাম লিখে দেয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা সবাই পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ মে নির্যাতিতা তরুণী নিজে বাদী হয়ে অভিযুক্ত সুমনসহ আরো দুই জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতার আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চরজব্বর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।