ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সাভারে চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলা, আহত ৫

সাভারে চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ নেতার হামলা, আহত ৫

চাঁদা না পেয়ে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদের লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুজন মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

হামলায় কাউন্সিলর গ্রুপে নারীসহ চারজন গুরুতর আহত এবং ছাত্রলীগ সভাপতির এক অনুসারী সামান্য আহত হন। আহতরা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সোমবার (১২ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে, রোববার রাত ৯ টার দিকে সাভার পৌর এলাকার বাড্ডা অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি মহল্লায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- সাভার পৌরসভার বক্তারপুর এলাকার নূরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৩৫) , কাঞ্চনপুর এলাকার অলি মিয়ার ছেলে মিনারুল (১৮) , বেদে পাড়া এলাকার আরশ আলীর মেয়ে নাসিমা (৩০) ও ছালাম মিয়া (৩৮)। তারা সবাই কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী এবং বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তবে সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকের অনুসারী আহত নজরুল ইসলাম (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন- সাভার পৌরসভার আরাপাড়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক (৩৫), একই এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে ও সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন টিপু (৩০), নজরুল (৩৬), আল আমিন (৩২), আরিফ (২৪), শামীম (২৭) ও শিমুল (৩০) ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০ জন।

পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন আইউব আলীর মালিকানাধীন খালেক চেয়ারম্যানের পুকুরে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু ভরাটের কাজ করে আসছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর রমজান আহমেদ। গত কয়েকদিন ধরে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক ও তার লোকজন। চাঁদা না পেয়ে রোববার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকের নেতৃত্বে টিপু, নজরুল, আল আমিন, আরিফ, শামীম, শিমুলসহ ২৫-৩০ জন এসে বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন।

খবর পেয়ে কাউন্সিলরের অনুসারী সুজন মিয়া ঘটনাস্থলে আসলে বাকবিতন্ডায় জড়ান ছাত্রলীগ সভাপতিসহ তার লোকজন। এ সময় সুজন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তারা। সুজনকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে মিনারুল, ছালাম মিয়া ও নাসিমাকেও মারধর ও জখম করা হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীকে জিম্মি করে জোরপূর্বক জমি দখল, মাটি ভরাট ও চাঁদাবাজি করছে ছাত্রলীগ সভাপতি আতিক। তাদের দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় এখন আমার লোকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। হামলায় গুরুতর আহত নারীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামীকাল বিষয়টির সমাধান করা হবে।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

হামলা,অভিযোগ,আহত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত